বাসস
  ২৫ মে ২০২৪, ১৪:২৪

আরব মন্ত্রীদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন ম্যাক্রোঁ

প্যারিস, ২৫ মে, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার গাজা যুদ্ধ এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই বৈঠকের আয়োজন করেন। জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে তাদের অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর তিনি বৈঠক করেন।
এই আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ ‘দ্বি-রাষ্ট্র’ সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা এবং গাজার জন্য মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
এলিসি প্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মকর্তারা গাজার সকল ক্রসিং পয়েন্ট ফের কীভাবে সক্রিয় করা যায় এমন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পাঁচটি দেশ কীভাবে ‘তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি ও জোরদার করা যায়’ এবং ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ইসরায়েল রাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র কার্যকর উপায় এবং ফিলিস্তিনের বৈধ আকাক্সক্ষার প্রতি সাড়া দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এলিসি প্রাসাদ জানায়, ম্যাখোঁ এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজার্ন বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ সৌকরি, জর্ডানের আয়মান সাফাদি এবং সৌদি আরবের ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
ফরাসি নেতা গাজা শহর রাফাহ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনে ইসরাইলের অভিযানের বিরুদ্ধে তার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি গাজায় হামাসের হাতে থাকা ‘সকল জিম্মি’ মুক্তির সাথে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপি’র তৈরি করা সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনায় ১,১৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। আর ওই হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়।
এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৫,৮০০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।