শিরোনাম
কেপ ক্যানাভেরাল, ১ জুন, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): বৃহত্তম এয়াক্রাফট নির্মাণ সংস্থা বোয়িং আগের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর পুনরায় শনিবার একটি স্টারলাইনার স্পেসশিপে তার প্রথম ক্রুকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাবে। এরআগে উড্ডয়নের কয়েক ঘন্টা আগে জটিলতার কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
প্রকৌশলীদের পর্যবেক্ষণ ও তদারকির পর নাসার মহাকাশচারী বুচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামস শনিবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫মিনিটে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স রকেটের উপরে বোয়িং মহাকাশ যানটির উড্ডয়নের কথা রয়েছে। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অত্যন্ত অনুকূল রয়েছে।।
মিশনের ব্যাকআপ ক্রু সদস্য নভোচারী মাইক ফিনকে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা ব্যাপক উদ্দীপনা মধ্যে উৎক্ষেপণের জন্য অপেক্ষা করছি এবং আমাদের এই মিশনের প্রতি আস্থা রয়েছে।’
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বোয়িংকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ক্রু পরিবহনের জন্য দ্বিতীয় বাণিজ্যিক অপারেটর হিসাবে প্রত্যয়িত করতে চাইছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স ইতিমধ্যে ২০২০ সাল থেকে এই বোয়িং মহাকাশ যান ব্যবহার করে আসছে।
নাসা ও স্পেসএক্স উভয় কোম্পানিই ২০১৪ সালে তাদের গামড্রপ-আকৃতির এবং স্বয়ংক্রিয় ক্রু ক্যাপসুলগুলো বিকাশের জন্য বহু-বিলিয়ন-ডলারের চুক্তি সম্পাদন করেছে। ২০১১ সালে স্পেস শাটল প্রোগ্রামের সমাপ্তির পরে যুক্তরাষ্ট্র অস্থায়ীভাবে রাইডের জন্য রাশিয়ান রকেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল।
বোয়িংয়ের ১০০-বছরের ইতিহাসের সাথে, তার তৎকালীন আপ-স্টার্ট প্রতিযোগীর তুলনায় প্রবলভাবে এগিয়ে ছিল, কিন্তু এর মহাকাশ কর্মসূচি বছরের পর বছর বিলম্ব এবং নিরাপত্তা ভীতির সম্মুখীন হয়েছে যা তার বাণিজ্যিক এয়ারলাইন বিভাগের অগণিত সমস্যা প্রতিফলিত করে।
গত ৬ মে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তত ছিল কিন্তু একটি ত্রুটিপূর্ণ রকেট ভালভের কারণে গ্রাউন্ড টিমগুলো সেই উৎক্ষেপণ বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। এতে মহাকাশচারী উইলমোর এবং উইলিয়ামসের মহাকাশ যাত্রা থেমে যায়।
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পন্ন হলে স্টারলাইনার রবিবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ভিড়বে এবং ক্রুরা সেখানে আট দিন থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। আইএসএস-এ কোনও সমস্যা হলে বোয়িং মহাকাশ ক্যাপস্যুলটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করা যায় কিনা তারা সেটা দেখবে।
পরে এটি আইএসএস ত্যাগ করে পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করবে এবং ১০ জুন পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাংশে একটি প্যারাসুট এবং এয়ারব্যাগ-সহায়তায় পৃথিবীতে অবতরণ করবে।