শিরোনাম
গাজা উপত্যকা(ফিলিস্তিনী অঞ্চল), ৯ জুন, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): ইসরায়েল গাজার নুসিরাত ক্যাম্পে যে হামলা চালিয়েছে তাতে নিহত ফিলিস্তিনীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১০ জনে এবং আহত হয়েছে অসংখ্য লোক।
এদিকে ইসরায়েল শনিবার ওই শরণার্থী শিবির থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভাল থেকে এদের জিম্মি হিসেবে আটক করেছিল।
তারা ভালো আছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
এদিকে এসব জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইসরায়েল ওই শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ও তুমুল বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে।
ইসরায়েল এ পর্যন্ত যে সাত জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করেছে এর মধ্যে এ চারজনও রয়েছে।
হামাস মোট ২৫১ ইসরায়েলিকে জিম্মি হিসেবে আটক করেছিল। এখনও ১১৬ জিম্মি হামাসের কাছে আটক রয়েছে। ৪১ জিম্মি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হামাসের মিডিয়া অফিস থেকে জানিয়েছে, নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১০ জনে এবং আহত হয়েছে চারশরও বেশি লোক।
ক্যাম্পের বাসিন্দা খলিল আল তাহরাবি পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, জিম্মি উদ্ধারের জন্যে তারা সবদিক থেকে বোমা হামলা শুরু করে।
এদিকে এর মাত্র কয়েকদিন আগে এই শরণাথী ক্যাম্পে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থা পরিচালিত স্কুলে ইসরায়েলের হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে।
এই স্কুলে ছয় হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী আশ্রয় নিয়েছিল বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
জাতিসংঘ প্রধান এন্তোনিও গুতেরেস শনিবার বলেছেন, এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থার ১৩৫ জন নিহত হয়েছে যা একক কোন যুদ্ধে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৬ হাজার ৮০১ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।