শিরোনাম
বৈরুত, ১২ জুন, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ জানিয়েছে, ইসরায়েলী বিমান হামলায় মঙ্গলবার তাদের সিনিয়র এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, নয় মাসের এই সংঘাতে নিহত হিজবুল্লাহ সদস্যদের মধ্যে সামি আবদাল্লাহই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জ্যেষ্ঠ্য সামরিক নেতা।
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এক জ্যেষ্ঠ হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত কমান্ডারের নাম সামি আবদাল্লাহ (৫৫)। তিনি আবু তালেব নামেও পরিচিত।
নয় মাস আগে ইসরায়েলি ভূখ-ে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় প্রতিশোধমূলক, নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সংঘাত শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হামলা শুরু করে সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
লেবাননের সামরিক বাহিনীর এক সূত্র জানিয়েছে, নয় মাসের এই সংঘাতে নিহত হিজবুল্লাহ সদস্যদের মধ্যে সামি আবদাল্লাহই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জ্যেষ্ঠ্য সামরিক নেতা।
সূত্র আরও জানায়, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জৌআইইয়া শহরের এই হামলায় আরও তিন জন নিহত হয়েছেন।
পরবর্তীতে হিজবুল্লাহ অপর এক সদস্য নিহতের তথ্য ঘোষণা করে। দ্বিতীয় এই যোদ্ধার নাম মোহাম্মাদ হুসেন সাবরা। তিনি বাকের নামেও পরিচিত।
সাম্প্রতিক সময়ে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তের দুই পাশ থেকে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবারের এই হামলার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, মঙ্গলবার সকালে হিজবুল্লাহ গোলান মালভূমিতে অন্তত ৫০টি রকেট হামলা চালানোর পর তারা এই পাল্টা হামলা চালায়।
গত ৯ মাসে লেবাননে ৪৬৭ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ৯০ জন বেসামরিক ব্যক্তি ও ৩০৪ জন হিজবুল্লাহর যোদ্ধা।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তত ১৫ ইসরায়েলি সেনা ও ১১ বেসামরিক ব্যক্তি এসব হামলায় নিহত হয়েছেন।
সংঘাত এড়াতে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার হাজারো মানুষ ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, লেবানন সীমান্তে ‘চরম মাত্রার সামরিক অভিযান’ চালাতে ইসরায়েল প্রস্তুত এবং তিনি ‘যেভাবেই হোক না কেন, উত্তর সীমান্তে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবেন।’