বাসস
  ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৫:৪২

ভারি বর্ষণে উত্তরাখন্ড, হিমাচলের জীবন ব্যাহত : আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ

নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে শুক্রবার ভারী বর্ষণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ সেখানে প্রধান নদীগুলো বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে,এতে প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের ৩০টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে একটি ডিব্রুগড়ের বেশ কয়েকটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন,যেটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে।
উত্তরাখন্ডে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে, দেরাদুনে বৃষ্টির পানিতে ডুবে এক পাঁচ বছরের শিশু এবং হরিদ্বার নদীতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড়ি রাজ্যে প্রতিদিনের জীবন ব্যাহত হয়েছে, বৃষ্টির কারণে অসংখ্য ভূমিধস হয়েছে, বদ্রীনাথের দিকে যাওয়ার জাতীয় সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, এতে ৬৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাংড়া, কুল্লু, কিন্নর, মান্ডি, সিরমাউর এবং সিমলা জেলার কয়েকটি এলাকায় মাঝারি ধরনের বন্যার ঝুঁকির সতর্কবার্তা দিয়েছে।
রাজস্থানের টঙ্ক জেলার মালপুরায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৭৬ মিমি বৃষ্টিপাতের সাথে রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এক কর্মকর্তা বলেছেন,আসামে ৭৭ টি বন্য প্রাাণী মারা গেছে, হয় ডুবে বা চিকিৎসার সময় এ গুলো মারা যায়। শুক্রবার পর্যন্ত প্লাবিত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান থেকে ৯৪টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
সংকটজনক বন্যা পরিস্থিতিতে ৩০টি জেলায় প্রায় ২৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সমস্ত বড় নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সরমা ডিব্রুগড় শহরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন,যেটি গত আট দিন ধরে পানির নিচে এবং তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। তিনি পায়ে হেঁটে কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন এবং লোকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কামরুপ মেট্রোপলিটন জেলার দিসপুর এলাকায় অবিরাম বর্ষণের পর ভূমিধসে এক শিশুসহ দুইজন নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন, এতে এই বছরের বন্যা,ভূমিধস ও ঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৪-এ দাঁড়িয়েছে।
ধুবরি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা, সেখানে ৬.৪৮ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দারাং এ ১.৯০ লাখ এবং কাছাড়ে ১.৪৫ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।