বাসস
  ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৫৭

দক্ষিণ এশিয়ার বায়ু দূষণ কমলেও এখনো দূষণ প্রাণঘাতি: প্রতিবেদন

ব্যাংকক, ২৮ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২২ সালে বায়ু মানের একটি বিস্ময়কর উন্নতি বৈশ্বিক দূষণ হ্রাসে অবদান রেখেছে। বুধবার একটি নতুন প্রতিবেদনে অনুকূল আবহাওয়া এই বায়ু দূষণ হ্রাসের একটি অন্যতম সম্ভাব্য কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বার্ষিক এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) সতর্ক করেছে, এই অঞ্চলের মানুষের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হচ্ছে। এতে তাদের গড়ে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি আয়ু কমছে।
বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ দেশের হয় কোন দূষণের মান নেই অথবা তারা যা নির্ধারণ করে তা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি বিস্তৃত পরিসরে তাদের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।
দুই দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ু দূষণ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু ২০২২-এর উপগ্রহ ডেটায় দেখা যায় বিস্ময়করভাবে এই দূষণ ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
শিকাগো ইউনিভার্সিটি অফ এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (ইপিআইসি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা ব্যতীত এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশে এই পতন রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদিও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বায়ু মান ফাইন পার্টিকুলেটেট ম্যাটার (পিএম২.৫) এর মাত্রা কি কমিয়েছে তা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা কঠিন। তবে এটি নিশ্চিত করা নিরাপদ যে অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি এতে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে।’ ফাইন পার্টিকুলেটেট ম্যাটার এমন ক্ষুদ্র কণা যা শরীরের গভীরে ভ্রমণ করতে পারে।
২০২২ সালে এই অঞ্চল জুড়ে গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশী বৃষ্টি প্রাকৃতিকভাবে দূষণ হ্রাসের তত্ত্বকে সমর্থন করে।
‘শুধুমাত্র সময়ই বলে দেবে নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে কি-না’ উল্লেখ করে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার লোকেরা এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিরাপদ মানের চেয়ে আট গুণ বেশি দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ পতনের ফলে বৈশ্বিক বায়ু দূষণ ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকাসহ অন্যত্র নিম্ন বায়ুর গুণমান বৃদ্ধি পেয়েছে।