শিরোনাম
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মিয়ানমার থেকে নয়শ’ সন্দেহভাজন জঙ্গি অশান্ত মণিপুর রাজ্যে প্রবেশ করেছে এমন খবর পেয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু মৈতৈ এবং প্রধানত খ্রিস্টান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যায়ক্রমিক সংঘর্ষের জেরে মণিপুর রাজ্য জাতিগত ছিটমহলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ে বসবাসকারী কুকিদের মিয়ানমারের উপজাতি জনগোষ্ঠীর সাথে সাংস্কৃতিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে কয়েক ডজন সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের সাথে লড়াই করছে।
মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন যে, কর্তৃপক্ষ স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি পারাপারের খবর পায়।
নয়শ’ লোক আসার খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত চৌকিগুলোকে ‘সতর্ক’ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ওই প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাবে।
সিং বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা কুকি জঙ্গিদের কাছ থেকে জঙ্গল যুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তারা অস্ত্রবাহী ড্রোন বহন করে। দেশে উড়–ক্কু ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে।
কয়েক মাস অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর এ মাসে মণিপুরের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রকেট হামলা ও ড্রোন থেকে বোমা ফেলার মাধ্যমে নতুন করে লড়াই শুরু হয়। এতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়।
সর্বশেষ হামলার জন্য কুকি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গত সপ্তাহে মৈতৈ বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের মধ্য দিয়ে মিছিল করেছে।
মৈতৈ ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জমি ও সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে লড়াইয়ের কারণে প্রায় ৬০ হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে গেছে এবং কমপক্ষে দুই শ’ লোক নিহত হয়েছে। অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি।
মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত।