শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১০ সহস্রাধিক বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্যোগ কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
চলতি মাসের গোরার দিকে টাইফুন ইয়াগি আঘাত হানলে দেশের উত্তরের বিশাল অংশ বন্যায় বিধ্বস্ত হলে ৩০০ জনের মৃত্যু এবং ১.৬ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ সম্পদেও ক্ষতি হয়। হ্যানয় থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
কিন্তু উত্তরে ইয়াগির প্রভাবে বন্যার পানি কমতে শুরু করলে, মধ্যাঞ্চলে গত সপ্তাহে আরেকটি তীব্র ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি বয়ে আনে এবং নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পায়।
থান হোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেছেন, গত তিন দিনে ১১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে।
প্রতিবেশী এনঘে এন প্রদেশে, আকস্মিক বন্যায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার থেকে, প্রায় ৩২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও ৬ হাজার ৩০০ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল বিনষ্ট হয়ছে। এই এলাকার অন্তত ৪০টি স্কুল ভবন প্লাবিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের (থাইল্যান্ডের) দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের উত্তরে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় লাম্পাং প্রদেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দেড় হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কর্তৃপক্ষ স্ফীত ওয়াং নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড উত্তরাঞ্চল, মিায়ানমার ও লাওসে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ৭০২ জনের মৃত্যুসহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে ৩৮৪ জন মারা গেছে। ভিয়েতনামে ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড জুড়ে প্রায় সহস্রাধিক স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হ্যানয়ে, রাজধানীর উপকণ্ঠে কিছু বাড়ি ইয়াগি আঘাত হানার আড়াই সপ্তাহ পরে আংশিকভাবে পানির নিচে রয়ে গেছে এবং কৃষকরা এখনও প্লাবিত ক্ষেত থেকে কিছু ফসল উদ্ধারে লড়াই করছে।
মঙ্গলবার ধান চাষিদের স্বাভাবিকের চেয়ে সপ্তাহ খানেক আগে তাদের ফসল কাটতে ও এখনও ধ্বংস হয়নি এমন কিছু ফসল সংরক্ষণ করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।