বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩০

ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ব্লিংকেন

ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শুক্রবার ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 
চীনের এই অস্ত্র রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে জানিয়ে ব্লিংকেন রাশিয়ায় অস্ত্র রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ করে চীনের আন্তরিকতার ব্যাপারে সরসারি এ প্রশ্ন তোলেন। 
নিউইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ব্লিংকেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। 
এ সময় ব্লিংকেন সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় চীনের রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি এড়িয়ে যাবে না এবং ওয়াশিংটন এক্ষেত্রে চীনের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। 
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘যুদ্ধ মেশিনে’ চীন ইন্ধন যোগাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ব্লিংকেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যখন বেইজিং একদিকে বলে যে, তারা শান্তি চায় ও সংঘাতের অবসান চায়। কিন্তু অন্যদিকে দেশটি তার কোম্পানিগুলোকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা আসলে পুতিনকে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। এক্ষেত্রে চীনের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য রাশিয়াকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করা নয়। তাদের সম্পর্ক তাদের ব্যবসা।’
ব্লিংকেন বলেন, ‘তবে সেই সম্পর্ক যদি রাশিয়াকে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা প্রদান করা হয়, তবে এটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, অন্যান্য দেশ বিশেষত ইউরোপের জন্য একটি সমস্যা।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, চীন রকেট ও সাঁজোয়া যানসহ রাশিয়ার সামরিক উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ৭০ শতাংশ মেশিন টুলস ও ৯০ শতাংশ মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছে।
বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠককালে ওয়াং বলেন, ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে চীনের অবস্থান ‘খোলামেলা ও সৎ, সব সময় শান্তি ও সংলাপ এবং একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে কার্যরত।’
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চীনের ওপর অপমানজনক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বন্ধ করা উচিত এবং বিভাজন সৃষ্টি ও জোটগত সংঘাতকে উসকে দিতে নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’
চীন বলেছে, তারা রাশিয়াকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করেনি এবং এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা মনে করছে, তা মোটেই ঠিক নয়। বরং ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে অভিযানের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলার অস্ত্র পাঠিয়েছে।
ওয়াং মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে বলেছেন, ‘চীন ইউক্রেন সংকট সৃষ্টি করেনি বা এর পক্ষেও নয়। চীন সর্বদাই শান্তির পক্ষে।’