শিরোনাম
ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : হিজবুল্লাহ লেবানন কর্তৃপক্ষকে বলেছে, যেদিন তারা ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় সেদিন ইসরাইলি হামলায় তাদের নেতা হাসান নাসরল্লাহ নিহত হয়। বুধবার একটি সরকারি সূত্র এএফপিকে এ কথা জানায়।
বৈরুত থেকে এএফপি জানায়, এর আগে, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি জানিয়েছিল যে, গাজায় তাদের ফিলিস্তিন মিত্র হামাসের সঙ্গেও এটি করা হলে তারা যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে।
সূত্রটি জানায় ‘২৭ সেপ্টেম্বর, হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে লেবাননের সরকারকে, পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির মাধ্যমে জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির জন্য একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত থাকা অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সেদিন লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করে।
মিকাতি তার সমকক্ষগুলোকে হিজবুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করলে আন্তর্জাতিক আলোচকরা ইসরাইলের মতের অপেক্ষায় থাকে। তবে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একই দিনে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে তার ভাষণে বলেন, ইসরাইলের উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না এবং তিনি বক্তৃতা করার পরে, ইসরাইলের বিমান বাহিনী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে নাসরুল্লাহকে হত্যা করে।
তার মৃত্যুর পর থেকে লেবাননের সরকার হিজবুল্লাহর সাথে আর কোনো যোগাযোগ করেনি। গ্রুপের ডেপুটি লিডার, নাইম কাসেম মঙ্গলবার বলেন, দলটি ‘নিখূঁত ভাবে সংগঠিত’ এবং ‘বেদনাদায়ক আঘাত’ কাটিয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতির জন্য হিজবুল্লাহর শক্তিশালী শিয়া মিত্র বেরির নেতৃত্বাধীন স্বাধীন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রচেষ্টাকে হিজবুল্লাহ সমর্থন করে।
হিজবুল্লাহ এক বছর আগে হামাসকে সমর্থনের জন্য একটি ফ্রন্ট খোলে।
ইসরাইল ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তার হামলা বাড়িয়ে লেবাননে ১,১৯০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা এবং ১০ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।