বাসস
  ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৪

জর্জিয়ার নির্বাচনে আংশিক পুনঃগণনায় ক্ষমতাসীন দলের জয় নিশ্চিত : নির্বাচন কমিশন

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : জর্জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদীয় নির্বাচনে আংশিক ব্যালট পুনঃগণনায় নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের জয়লাভ নিশ্চিত করেছে।

বিরোধী দলগুলো নির্বাচন-বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস নির্বাচনের ঘটনা তদন্তের দাবি জানানোর পর, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কর্মকর্তারা এ ঘোষণা দিলেন।

শনিবারের নির্বাচনের পর জর্জিয়ায় বড় ধরনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ দেশটির ক্ষমতাসীনদের পশ্চিমাপন্থী বিরোধীরা ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনে  নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার জানিয়েছে।

ইউরোপ-পন্থী প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি ‘রাশিয়ান বিশেষ অভিযান’ দ্বারা নির্বাচনী হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে নির্বাচনের ফলাফল ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছেন। এ নিয়ে সরকারি দলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছে।  

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এএফপিকে জানিয়েছে, প্রায় ১২ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে পুনঃগণনা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪ শতাংশ ভোট রয়েছে। পুনঃগনণায় আগে ঘোষিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘পুনরায় গণনা করা প্রায় নয় শতাংশ ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত সংখ্যা সামান্যই পরিবর্তিত হয়েছে।’

এদিকে, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের প্রতিবাদে সোমবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনী অনিয়মের নিন্দা করে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

জর্জিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি প্রাদেশিক ভোটকেন্দ্রে ব্যালট স্টাফিংয়ের (ব্যালট বাক্সে একসাথে এক পক্ষের অনেকগুলো ব্যালট পেপার ভরা) অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, তারা কথিত নির্বাচনী লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪৭টি ফৌজদারি মামলা চালু করেছে।

বুধবার, জর্জিয়ান প্রসিকিউটররা বলেছেন যে, তারা প্রেসিডেন্ট জুরাবিশভিলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এই সমন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, নির্বাচনী জালিয়াতির প্রচুর প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে। এখন প্রসিকিউটরদের উচিত তাদের তদন্তে মনোনিবেশ করা এবং প্রেসিডেন্টের সাথে রাজনৈতিক স্কোর-সেটলিং বন্ধ করা’।

বিরোধী দলগুলো নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেছে যে, তারা নতুন ‘অবৈধ’ সংসদে প্রবেশ করবে না।