শিরোনাম
ঢাকা, ৩ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : তুরস্ক রবিবার বলেছে, আফ্রিকার সাথে সম্পর্ক গভীর করার জন্য দেশটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটি ফিলিস্তিনিদের জন্য কূটনৈতিক সমর্থন দানেরও আহ্বান জানিয়েছে। চলতি সপ্তাহান্তে জিবুতিতে সর্বশেষ আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্ক এ আহবান জানায়। মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে আফ্রিকার ১৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। বৈঠকে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অ্যাঙ্গোলা, চাদ, কোমোরোস, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিশর, নিরক্ষীয় গিনি, ঘানা, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে ছিল।
তুরস্ক সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আফ্রিকা জুড়ে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান তার দুই দশকের ক্ষমতায় থাকাকালে ৩১টি দেশে ৫০টি সফর করেছেন।
আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্বকারী তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, গত বছর আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে এবং তুরস্কের সরাসরি বিনিয়োগ এখন ৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক এই মহাদেশের সাথে তাদের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি ব্যাপক ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছে।’ তুরস্ক এখন সাব-সাহারান আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে এবং এ অঞ্চলের অনেক দেশে সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতেও সহায়তা করেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তুরস্ক ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার মধ্যে একটি দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছে। এছাড়া তুরস্ক নাইজারের সাথে একটি খনির চুক্তিও করেছে।
ফিদান আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-এর স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের জন্য সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শতাব্দির জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘকে আরও প্রাসঙ্গিক ও সক্ষম করে তোলার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত। নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার এ অর্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ফিদান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে বৃহত্তর আফ্রিকার অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আফ্রিকা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ও ইসরাইলকে থামাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইল কর্তৃক সংঘটিত ‘গণহত্যা’র প্রমাণ দাখিলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সব আফ্রিকান দেশের প্রশংসা করি, যারা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
পরবর্তী তুর্কি-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।