শিরোনাম
ঢাকা, ১০ নভেম্বর, ২০২৪(বাসস) : ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরতির লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছিল কাতার। তবে এবার এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সেইসঙ্গে রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে কাতার।
কূটনৈতিক এক সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র বলেছে, ইসরাইল ও হামাস- দু’পক্ষকেই কাতার জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আন্তরিকভাবে যেতে রাজি না হবে, ততক্ষণ দোহা এই বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না। ফলে দোহায় হামাসের কার্যালয় থাকার দরকার নেই।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখা যায়নি। সূত্রের তথ্যমতে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, ইসরাইল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফেরার আগ্রহ দেখালে তারা আবার মধ্যস্থতা করবে।
এদিকে সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, কাতারে হামাস নেতাদের আশ্রয় না দেয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দোহা। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার আহ্বানে হামাস নেতারা সাড়া দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কোনও দেশের রাজধানীতে তাদের আশ্রয় দেয়া উচিত হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১২০৬ মানুষ নিহত হন। সেইসঙ্গে ইসরাইল থেকে ২ শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি।