বাসস
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৭

সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে চলেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী 

ঢাকা, ১১ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জাপানের সাধারণ নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সোমবার পার্লামেন্ট ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন। তবে এই ভোটে তিনি টিকে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এবারের মতো টিকে গেলেও তিনি ক্ষমতায় নড়বড়ে অবস্থায় থাকবেন। 

ইশিবা (৬৭) অক্টোবরের শুরুতে দায়িত্ব গ্রহণ করে একটি আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন যে, ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা হিসাবে এ নির্বাচনে তার প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি এবং অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে অসন্তুষ্ট ভোটাররা ২০০৯ সালের পর থেকে দলটিকে সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি একটি ঝুলন্ত সংসদের রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। 

 অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে তার পূর্বসূরি ফুমিও কিশিদার ভরাডুবি হয়েছিল। রক্ষণশীল এলডিপি ও তাদের জোটের ছোট দল সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও তারা পার্লামেন্টের শক্তিশালী নি¤œকক্ষের বৃহত্তম জোটে রয়ে গেছে। সুতরাং, জাপানের বিরোধী দলের অনেকগুলো মূল বিষয়ে গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে আছে আর তাই ইশিবা সোমবার থেকে একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওই দিন আইন প্রণেতারা প্রধানমন্ত্রীকে মনোনীত করার জন্য বিশেষ চার দিনের একটি অধিবেশন আহ্বান করবেন। 

কূটনৈতিক ফ্রন্টে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন নির্বাচনে বিজয় প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশিবার জন্য বিষয়গুলিকে জটিল করতে পারে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্য নতুন বাণিজ্য শুল্ক ও টোকিওর অধিকতর প্রতিরক্ষা ব্যয়ের দাবি, কয়েক দশক ধরে দেশটি সামরিক সরঞ্জামাদির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে। 

সামনের দিকে আইন পাস করার জন্য পর্যাপ্ত প্রভাব রাখতে ক্ষমতাসীন জোট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ফর দ্য পিপল (ডিপিপি) থেকে সাহায্য চেয়েছে। ডিপিপি একটি মধ্যপন্থী ছোট দল, যা জোটের বাইরে থাকার সময় ভোট-বাই-ভোটের ভিত্তিতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।  

নিহন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক তোমোকি আইওয়াই এএফপিকে বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য ইশিবাকে এই শীতে সরকারী বাজেট পাস করতে হবে। এর অর্থ হবে, এলডিপিকে অন্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে কিছু নীতি মেনে নিতে হবে।’
এলডিপির সাথে আলোচনায় ডিপিপি ট্যাক্স কমানো ও জ্বালানি ভর্তুকি দাবি করেছে- অর্থনীতিবিদদের মতে যা সরকারের কর রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। 

এই সূক্ষ্ম আলোচনার পাশাপাশি, ইশিবাকে অবশ্যই তার দলের মধ্যে তিক্ত অসন্তোষের সাথে লড়াই করতে হবে। দলীয় অনৈক্যের কারণেই ২৭ অক্টোবরের নির্বাচনে তার দল-মন্ত্রীত্বসহ বেশ কিছু আসন হারিয়েছেন।