শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ফরাসি ভূখণ্ড মায়োটে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় চিডো'র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দ্বীপটি কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় চিডো তাণ্ডব চালায় ফ্রান্স নিয়ন্ত্রিত দ্বীপটিতে। ঘণ্টায় ২২৬ কিলোমিটার বেগে মায়োটে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী ঝড়টি। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় অঞ্চলটি। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপটি। বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
শ’ শ’ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবং হাজার হাজার বাড়িঘর, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অস্থায়ী আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তা বিউভিলের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।
বিউভিল বলেন, ফরাসি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিমানবন্দর ঘূর্ণিঝড় চিডো'র তাণ্ডবে বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষতির কারণে তাদের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিউভিল প্রিফেক্ট ফ্রাঁসোয়া-জেভিয়ের ব্রডকাস্টার মায়োট লা প্রিমিয়ারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় চিডো'র তাণ্ডবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা চূড়ান্ত গণনায় পৌঁছা খুবই কঠিন। সব হতাহতের হিসাব করা কঠিন, এই মুহূর্তে কোনো সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। কারণ বেশিরভাগ বাসিন্দাই মুসলিম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মৃতদের কবর দেওয়া হয়।
ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লিয়েন রোববার এক্স-এ পোস্টে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় চিডো'র বিধ্বংসী আঘাতের পরে আমরা আগামী দিনগুলোতে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানোম ঘেব্রেইসাস এক্স-এ পোস্টে বলেন, ঘূর্ণিঝড় চিডো'র বিধ্বংসী আঘাতের পর ’প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার সহায়তা করতে প্রস্তুত।'
পোপ ফ্রান্সিস, রোববার ফরাসি ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ কর্সিকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি সকলের প্রতি মায়োটের বাসিন্দাদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তারা সেখানকার জনগণকে সাহায্য করার জন্য কাজ করবেন।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ঝড়ের কবলে পড়া মানুষদের সাহায্য করতে তারা মোজাম্বিকে রয়েছে।
আবহাওয়া পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, মোজাম্বিকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় চিডো রোববার ভোরে উত্তরের শহর পেম্বার প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দক্ষিণে আছড়ে পড়ে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে।