শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন।
আজ সোমবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে অবস্থানকালে এ কথা বলেন তিনি।
নয়াদিল্লি থেকে এএফপি জানায়, শ্রীলংকার রাষ্ট্রনেতারা সাধারণত ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের জন্য চীনের সাথে তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারতে তাদের প্রথম সফর করেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় আসা বামপন্থী দিশানায়েকে সোমবার রাতে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দিশানায়েকে বলেন, তিনি ভারতের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সাথেও ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ করেছেন।
দিসানায়েক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের আলাপ-আলোচনা ইন্দো-শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা, বিনিয়োগের সুযোগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং পর্যটন ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে উন্নয়নের মনোনিবেশ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব সম্পৃক্ততা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।’
নয়াদিল্লি শ্রীলঙ্কায় বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। অপর দিকে চীন শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম ঋণদাতা। তবে ভারত সাম্প্র্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলঙ্কায় অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
২০২৫ সালের গোড়ার দিকে চীনের নেতাদের সাথে আলোচনার লক্ষ্যে দিশানায়েক বেইজিং ভ্রমণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালে তার সবচেয়ে প্রকট আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়। সে সময় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে পড়ে। এ ছাড়া দেশটি ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।