বাসস
  ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৭
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৪

ভানুয়াতু ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের সন্ধানে বিদেশী উদ্ধারকর্মী যোগ দিয়েছেন

ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ভানুয়াতুতে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে বিদেশী উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন নয়জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর এএফপি’র।

অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে ১০০ জনেরও বেশি উদ্ধার কর্মী সামরিক পরিবহন বিমানে উদ্ধারকারী গিয়ার, কুকুর এবং অন্যান্য জিনিসপএসহ ভানুয়াতুর বিপর্যস্ত রাজধানী পোর্ট ভিলায় যাচ্ছে।

মঙ্গলবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির প্রধান দ্বীপে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, বহুতল কংক্রিটের ভবন, দেয়াল ও সেতু ফাটল, পানি সরবরাহের ক্ষতি এবং বেশিরভাগ মোবাইল নেটওয়াকের্র ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভানুয়াতুতে  ভূমিকম্পের কারণে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কারফিউসহ সাত দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

ভূমিকম্পে  বিধ্বস্ত  ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে বেসামরিক লোকেরা তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।

এএফপি  ছবিতে দেখা গেছে উদ্ধারকারীরা রাতে যান্ত্রিক খননকারীর সাথে একটি বড় বিল্ডিংয়ে মানুষকে বাঁচাতে কাজ করছেন।

ভানুয়াতু বিজনেস রেজিলিয়েন্স কাউন্সিল গ্লেন ক্রেগ বলেন, উদ্ধারকারীরা পোর্ট ভিলায় দুটি ধসে পড়া ভবনে লোকজনের খোঁজে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা জানি মানুষ আটকা পড়েছে এবং অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে, এবং সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে ।

তিনি আরো বলেন, আমার বন্ধু ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে, আজ দুপুর ২টায় তার শেষকৃত্য । 

অস্ট্রেলিয়ার সরকার ছয়জন চিকিৎসক, নয়জন পুলিশ, দুটি কুকুর এবং জরুরী  জিনিসপত্রসহ একটি ৬৪-জনের উদ্ধারকারী দল বিমানে পাঠিয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন  বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর অস্ট্রেলিয়ার জরুরি কর্মীরা এখন ভানুয়াতুর  রয়েছেন ।

নিউজিল্যান্ড সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩৬ জনের একটি শক্তিশালী উদ্ধারকারী দল রওয়ানা দিয়েছে । বৃহস্পতিবার একটি পৃথক সি-১৩০ সামরিক পরিবহণ বিমান উদ্ধারকারী সরঞ্জাম এবং দুর্যোগের সরবরাহসহ অবতরণ করেছে।

ভানুয়াতুর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে পোর্ট ভিলার হাসপাতালে নয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পটি প্রধান হাসপাতালসহ ১০ টিরও বেশি ভবনের ক্ষতি করেছে, এতে বলা হয়েছে, তিনটি সেতু, পাওয়ার লাইন, জলের রিজার্ভ এবং মোবাইল যোগাযোগকেও আঘাত করেছে। ভূমিধসের পরে নৌবন্দর বন্ধ রয়েছে।