শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ইসরাইলি বিমান বাহিনী বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহী গ্রুপ হুতি পরিচালিত মিডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে। খবর এএফপি’র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, হামলা চলাকালীন সময় তিনি সানা এয়ারপোর্টে অবস্থান করছিলেন। তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের বিমান হামলায় তাদের বিমানের একজন ক্রু আহত হয়েছে।
বিমানবন্দরে টেড্রোসের উপস্থিতি বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
ইসরাইল ও হুতিদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ইয়েমেনের ওই বিমানবন্দর, সামরিক স্থাপনা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হলো।
এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুশিয়ারি বার্তা উচ্চারণ করে বলেন, ‘ইয়েমেনে হামলা চলতে থাকবে ততক্ষন যতক্ষন পর্যন্ত না তারা (ইসরাইলিরা) তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায়। সন্ত্রাসবাদের এই অংশটিকে শেষ করতে আমরা দৃঢপ্রতিজ্ঞ।’
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস ইসরাইল এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যকার তিক্ততা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এক্ষেত্রে সানা বিমানবন্দরে হামলা ঘটনা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।
ইসরাইলে হুতিদের ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলার একদিন পর ইসরাইল ইয়েমেনে এ হামলা চালাল। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তাদের হামলা ছিল গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিক। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দ, হুতির সামরিক স্থাপনা এবং হোদেয়বায় অবস্থিত বিভিন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানী সানা দখল নেওয়ার এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।