শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলে মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কিছুটা পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো: যুক্তরাষ্ট্রের কালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ১১ জন। ধ্বংস হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি বিলাস বহুল বাড়ি ও অবকাঠমো।
১ লাখ ৮০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ১শ’ ৫০ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলারের। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই দাবানলের মধ্যেই আবার চলছে লুটতরাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্যালিসেইডস ও ইটন অঞ্চলে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
নিউইয়র্ক থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
গত চারদিন ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস। গোটা শহর যেন নরকে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় দাবানলের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ।
ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এই দাবানলে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। ধ্বংস হয়ে গেছে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ঘর। এখনো বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা দাবানলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পূর্বের রেকর্ড ছাড়াবে।
আগুন নেভাতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। টানা কাজের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবুও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিজাত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বাড়ি ঘর গুলোতে লোকজনকে ফিরতে দেখা গেছে। অনেকে পোড়া বাড়িঘর দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিপদের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়িঘরে চলছে লুটপাট। ইতোমধ্যে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্যাসিফিক প্যালিসেইডস ও ইটনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারে পানি ছিটানো হচ্ছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর লস অ্যাঞ্জেলসে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অন্যদিকে তীব্র তুষারপাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের অঙ্গরাজ্যগুলো।
শুক্রবার টেক্সাস, ওকলাহোমা, নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বাতিল হয়ে যায় স্কুলের কার্যক্রম। লাখ লাখ শিশুকে ঘরে বসেই অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলের অফিস আদালতও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে শার্লোট, ডালাস-ফোর্ট বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।