শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সিউলের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন আইন প্রণেতা সোমবার বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৩০০ সৈন্য নিহত ও আরো ২ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে।
আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়ুনের উদ্ধৃতি দিয়ে সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সিউল এর আগে দাবি করেছিল যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র ও উপগ্রহ কর্মসূচির জন্য রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তার বিনিময়ে কিয়েভের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মস্কোর সহায়তার জন্য ১০ সহস্রাধিক সৈন্য পাঠিয়েছেন।
এ কর্মসূচিগুলোর জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
সিউলের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের ব্রিফিংয়ের পর আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়ুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন বলে জানা গেছে। উত্তর কোরীয় বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ জন নিহত ও ২,৭০০ জন আহত হয়েছে।’
আইনপ্রণেতা আরো বলেন, এনআইএস বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে যে, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ‘আধুনিক যুদ্ধ সম্পর্কে ধারণার অভাব’ রয়েছে। রাশিয়া তাদের এমনভাবে ব্যবহার করছে যার ফলে ‘হতাহতের সংখ্যা বেশি’ হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ রোববার এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন কিম জং উনের সৈন্যদের তার কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত, যদি তিনি রাশিয়ায় বন্দী আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে তার সৈন্যদের বিনিময়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।’
তিনি আরো বলেন, কিয়েভে ‘নিঃসন্দেহে আরও’ উত্তর কোরিয়ার সৈন্য বন্দী থাকবে। উত্তর কোরিয়ার যে সব সৈন্য ফিরে আসতে চায় না, তাদের জন্য অন্যান্য বিকল্পও থাকতে পারে।’
ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়ান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করার জন্য ১০ সহস্রাধিক সৈন্য পাঠানোর অভিযোগ করেছে।
মস্কো বা পিয়ংইয়ং উভয়ই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েন করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশ দুটি তাদের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।