শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত স্বর্ণ খনি থেকে ৬০ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
জোহানেসবার্গ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সোমবার কর্তৃপক্ষ মৃতদেহগুলো সরিয়ে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত স্টিলফন্টেইনের খনিতে ১শ’ জনেরও বেশি লোক মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে অবৈধ খনি থেকে মোট ১০৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে এবং সাথে সাথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫১ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আগের দিন ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
খনিটি ভূগর্ভের ২ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীর এবং সোমবার খনি শ্রমিকদের এবং মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই খনি শ্রমিকদের ’জামা জামাস’ বলে- জুলু ভাষায় ডাকার চেষ্টা করে। তারা প্রায়শ প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীঅ স্থানীয়রা তাদের অপরাধমূলক কাজের জন্য অভিযুক্ত করে।
পুলিশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, আরও শত শত খনি শ্রমিক মাটির নিচে থাকতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেনজো মাচুনু মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে কতজন শ্রমিক থাকতে পারে তা অনুমান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
খনি শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করা একটি দল ম্যাকুয়ার সোমবার এএফপি’কে পাঠানো একটি ভিডিওতে খনিতে কাপড়ে মোড়ানো কয়েক ডজন মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্রথমবার আগস্ট থেকে যখন তাদের অপসারণ শুরু করে, তখন থেকে স্টিলফন্টেইনে ১ হাজার ৫শ’ জনেরও বেশি অবৈধ খনি শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের মধ্যে ১২১ জনকে বহিষ্কার করেছে।
জীবিতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে খনিতে খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যাতে খনি শ্রমিকদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু নভেম্বরে একটি আদালত আদেশ দেয় যে পুলিশকে খনিতে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে, যাতে মাটির উপরে থাকা লোকেরা নীচের লোকদের জন্য খাবার এবং পানি সরবরাহ করতে পারে।