বাসস
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১

সংবাদ সম্মেলন থেকে এক সাংবাদিককে বের করে দিলেন ব্লিঙ্কেন

ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে হেনস্তার শিকার হলেন এক সাংবাদিক। গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করায় তাকে ব্রিফিং রুম থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শেষ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন। এই দিন গাজা ইস্যুতে সাংবাদিকদের একের পর এক তীক্ষ্ম প্রশ্নবানে জর্জরিত হন ব্লিঙ্কেন। এক পর্যায়ে গাজা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেন স্যাম হুসেইনি নামের এক সাংবাদিক।
মুহূর্তের মধ্যে সবার সামনে থেকে তাকে জোর করে নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা। এই সময় স্যাম হুসেইনি বার বার তার গায়ে হাত দিতে নিষেধ করলেও তা তোয়াক্কা করেনি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।

সাংবাদিক স্যাম হুসেইনি বলেছেন, ‘আমি এখানে চুপচাপ বসেছিলাম। আমাকে দুই তিনজন লোক হেনস্তা করে। আপনি মুক্ত সংবাদপত্র, মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলেন। আপনি আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন। তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন না বলার পরে আমি উনাকে প্রশ্ন করেছি।’

এক পর্যায়ে স্যামকে বার বার নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন। জবাবে অবজ্ঞার সুরে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘অ্যামনেস্টি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত সবাই যখন বলছে ইসরাইল গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র চলমান প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে বলছে।’

স্যাম হুসেইনি আরো বলেন, ‘আপনি একজন যুদ্ধাপরাধী। আপনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হওয়া উচিত।’

শান্তি চুক্তি আগে থেকেই থাকলে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র কেন বোমা হামলা চালাতে ইসরাইলকে সব ধরনের সহযোগিতা দিল সেই প্রশ্ন তোলেন ম্যাক্স বলুমেন্থাল নামের আরেক সাংবাদিক।

তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে মামলার তদন্তে নেমেছে ইসরাইল। তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া আছে, আইন আছে জানিয়ে ইসরাইলের পক্ষে সাফাই গাইলেন ব্লিঙ্কেন।
এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি বলেছেন, এই চুক্তি ১৯ জানুয়ারি রোববার থেকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে হামাস মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে।

একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাদাভাবে যুদ্ধ বিরতির কথা নিশ্চিত করেন।