শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫(বাসস) : যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী দু’টি বাস প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্য দিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার রাত ২টায় পশ্চিম তীরে পৌঁছে। অপেক্ষামান স্বজনদের ভীড়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচণ্ড ভীড় এড়িয়ে যখন বন্দিদের বহনকারী বাস পশ্চিম তীরে পৌঁছে তখন বাসের দরজা খোলার সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে মহিলারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কোলাকুলি করে এবং আনন্দের অশ্রুতে কাঁদতে থাকে। এই সময় জনতা স্লোগান দিয়ে, পতাকা নেড়ে বাসের ওপরে উঠে যায়।
অন্যান্যরা বিটুনিয়ার শান্ত শহরতলিতে আতশবাজি জ্বালিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বুশরা আল-তাউইলকে ২০২৪ সালের মার্চে ইসরাইল আটক করে কারাবন্দি করে রেখেছিল। প্রথম দফায় মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে তিনিও ছিলেন।
বুশরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমাকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।’
গাজায় হামাসের হাতে আটক আরো ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে আগামী ৪২ দিনে মুক্তি দিবে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইল প্রায় ১ হাজার ৯শ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি তিন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে সাংবাদিক বুশরাসহ ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।
এদিকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের ভীড়ের মধ্যে অনেকে আবার ইসরাইলের ‘ওফার’ কারগারটি একনজর দেখার জন্য ভীড় জমায়।
রামাল্লার কাছের শহর থেকে আমান্ডা আবু শার্খ (২৩) বলেছেন, ‘আমরা এখানে কারাগারটি দেখতে এসেছি, যেখানে আমাদের স্বজনদের দীর্ঘকাল বন্দি করে রাখা হয়েছিল।’
তিনি এএফপি’কে বলেন, ‘আজকে মুক্তি পাওয়া সব বন্দিকে আমার পরিবারের সদস্যের মতো মনে হচ্ছে।’
‘তারা আমার রক্তের সম্পর্কের না হলেও তাদের দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না।’
তিনি বলেন, কারাগারের অনেক লোককে আমি চিনি।