বাসস
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩২

মেক্সিকো সীমান্তে ১,৫০০ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত ১ হাজার ৫শ’ মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে অবৈধ অভিবাসন ও বৈচিত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসাবে এ ঘোষণা দেন।

গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে ক্ষমতায় বসার দিনই পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

আমেরিকার জন্য 'স্বর্ণযুগের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষতায় আসা ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান, শরণার্থীদের আগমন ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে কথা বলেন। এটাই কোনও বিদেশী নেতার সাথে তার প্রথম ফোনালাপ বলে জানা গেছে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি তার দীর্ঘদিনের সিক্রেট সার্ভিসের দেহরক্ষী শন কারানকে প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সুরক্ষা প্রদানকারী সংস্থার পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে ট্রাম্পের উপর আততায়ী গুলি চালানোর সময় কারান তার পাশে ছিলেন। গুলিতে ট্রাম্পের একটি কান কেটে যায়। 

ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর  প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজের শন হ্যানিটিকে বলেন, পূর্বসূরী জো বাইডেন তার উপর অনেক কাজ রেখে গেছেন।
অভিবাসী এবং বৈচিত্রের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আদেশের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে লেভিট বলেন, সোমবার স্বাক্ষরিত ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের খবর সত্য। দক্ষিণ সীমান্তে অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ সেনা সদস্য পাঠানোর খবরও নিশ্চিত করেন তিনি।

অবৈধভাবে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে মার্কিন সীমান্ত টহল এবং পুলিশকে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যেই ২,০০০ জনেরও বেশি মার্কিন সেনা সীমান্তে অবস্থান করছে।

ইতোমধ্যে মার্কিন বিচার বিভাগ হুমকি দিয়েছে যে স্থানীয় এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষ যদি ট্রাম্পের 'লক্ষ লক্ষ’ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতির সাথে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি ছিল ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর, মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলাকারী, পুলিশে উপর হামলাকারী এবং মার্কিন কংগ্রেস ভবনে ভাঙচুরকারী এক হাজারেরও বেশি সমর্থককে ক্ষমা করে দেয়া।