বাসস
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪৭

গাজা সাফ করতে বাসিন্দাদের মিশর ও জর্দানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে এর বাসিন্দাদের স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদের জন্য প্রতিবেশী মিশর ও জর্দানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, গাজাকে "ধ্বংসস্তূপ' হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পর গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে।

তিনি জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন জানিয়ে রোববার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, 'আমি চাই মিশর ও জর্দান গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করুক। ওই অঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ মানুষ থাকতে পারে এবং আমরা পুরো অঞ্চলটি পরিষ্কার করে দেব। এখানে বহু বছর ধরে সংঘাত হয়েছে। আর কিছু না কিছু তো পরিবর্তন হতে হবে।'

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে গাজার ২৪ লাখ জনগণের বিশাল অংশই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। অনেকেই বার বার তাদের স্থান বদল করেছে।

ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর 'স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি' হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, 'এটি বর্তমানে একটি ধ্বংসস্তূপ'। প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই আমি চাই কিছু আরব দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের অন্য স্থানে বসবাসের ব্যবস্থা করতে। হয়তো তারা সেখানে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।'

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি নাজুক অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের শেষ দিন কাতারের আমিরের মাধ্যস্থতায় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন যে এটি তার উদ্যোগেই সম্ভব হয়েছে।

ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরাইলকে ' সমর্থন' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তাদের মধ্যপ্রাচ্য নীতি এখনো স্পষ্ট হয়নি। ট্রাম্প শনিবার নিশ্চিত করেছেন যে তিনি পেন্টাগনকে ইসরাইলের একটি ২০০০ পাউন্ডের বোমার চালান ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পূর্বসূরি বাইডেন এটি ব্লক করে রেখেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, 'আমরা সেগুলো ছাড় করেছি। আমরা আজ (শনিবার) সেগুলো ছেড়ে দিয়েছি। তারা এগুলো কিনেছে এবং অনেক দিন ধরে এগুলোর অপেক্ষায় ছিল।'

গাজার পুনর্গঠনে অনেক বছর সময় লাগবে, কারণ ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে।