শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের পুত্র ইয়োশিথা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে সোমবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কলম্বো থেকে এএফপি জানায়, ইয়োশিথা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমার দিশানায়েক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর এটি নতুন গতি লাভ করেছে।
মাহিন্দা রাজাপক্ষের ক্ষমতাশালী পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে হত্যার মতো বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা এখনও আদালতে মুলতবি রয়েছে।
৩৬ বছর বয়সী সাবেক নৌবাহিনীর জুনিয়র অফিসার ইয়োশিথা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তার পিতার শাসনামলে তিনি বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে।
ইয়োশিথাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দুদিন আটকের পর সোমবার কলম্বোর একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে ১০ কোটি রুপি (৩.৪৪ লাখ মার্কিন ডলার) জামিনে মুক্তি দেয়।
ইয়োশিথা তদন্তকারীদের জানান, তার দাদির কাছ থেকে উপহার পাওয়া রত্নপাথরের একটি ছোট ব্যাগ বিক্রি করে তিনি বাড়ি কেনার অর্থ সংগ্রহ করেন। তবে তার দাদি এই রত্নপাথরগুলোর উৎস মনে করতে পারেননি।
ইয়োশিথা ২০১৬ সালে টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কেনার সাথে সম্পর্কিত আরেকটি অর্থপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। উভয় মামলাই বছরের পর বছর স্থগিত ছিল।
ইয়োশিথার বড় ভাই নামাল, যিনি শ্রীলঙ্কার সংসদের একজন আইনপ্রণেতা, তার বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে যা এখনও বিচারে যায়নি।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিশানায়েক ক্ষমতায় আসার পর অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি বিচারাধীন ফৌজদারি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন এবং বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনবেন।
ক্যাবিনেটের মুখপাত্র নালিন্দা জয়তিসা গত সপ্তাহান্তে কলম্বোতে সাংবাদিকদের বলেন, নতুন সরকার অপরাধ তদন্ত বিভাগকে বেশি সম্পদ প্রদান করছে, যাতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়।
জয়তিসা বলেন, 'এটি কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়। দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা মামলাগুলোর নিষ্পত্তির জন্য জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে।'
মাহিন্দা রাজাপক্ষের ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষে ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট হন, তবে ২০২২ সালে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট থেকে সৃষ্ট জনগণের বিদ্রোহের ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধেও মাহিন্দার শাসনামলে গৃহযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।