শিরোনাম
ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): সুদানের বৃহত্তর খার্তুমে শনিবার গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত এবং ১৫৮ জন আহত হয়েছে। এটি এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের সর্বশেষ রক্তপাত।
সুদানের এক মেডিকেল সূত্র ও কর্মীদের বরাত দিয়ে পোর্ট সুদান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। ভয়াবহ লড়াইটি এই মাসে তীব্র আকার ধারণ করেছে।
মেডিকেল সূত্র এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানায়, বৃহত্তর খার্তুমের অংশ, সেনা-নিয়ন্ত্রিত ওমদুরমানের একটি ব্যস্ত বাজারে আরএসএফের গোলাবর্ষণে ৫৪ জন নিহত এবং ১৫৮ জন আহত হয়েছে। এর ফলে হতাহতের ভিড়ে ওয়ায়া নগরীর আল-নাও হাসপাতাল সয়রাব হয়ে গেছে। রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে সেনাবাহিনী ।
হামলায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি এএফপিকে জানান, ‘সবজি বাজারের মাঝখানে গোলাবর্ষণ হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা এত বেশি।’
আরএসএফ এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
ফরাসি দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) হাসপাতালে ‘ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড’ ঘটানোর কথা বলেছে।
সুদান জুড়ে জরুরি সেবা সমন্বয়কারী শত শত স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে অন্যতম স্থানীয় ইমারজেন্সি রেসপন্স রুম জানিয়েছে, খার্তুমে নীল নদের ওপারে, আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলায় দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
আরএসএফ শনিবারসহ বিভিন্ন হামলায় ড্রোন ব্যবহার করেছে। নিয়মিত সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো একচেটিয়া বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরএসএফ ও সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধে বারবার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এবং আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করার পাশাপাশি সুদানের গৃহযুদ্ধ ১ কোটি ২০ লক্ষাধিক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ভয়াবহ এই যুদ্ধ সুদানের অবকাঠামো ধ্বংস করায় বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।