বাসস
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৮

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করবেন নেতানিয়াহু

ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ দফা জিম্মি-বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর সোমবার ওয়াশিংটনে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করবেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

নেতানিয়াহু রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলেছেন এবং ওয়াশিংটনে তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে আলোচনা শুরুর করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যস্থতাকারী ও প্রতিনিধিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ৪২ দিনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা আগামী মাসে শেষ হবে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, উইটকফ প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং মিশরের সাথেও কথা বলবেন।

প্রথম পর্যায়ে, হামাস শনিবার ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে তিনজন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

জিম্মি ওফের কালদেরন ও ইয়ার্ডেন বিবাসকে হামাস যোদ্ধারা মঞ্চে কুচকাওয়াজ করে দক্ষিণ গাজা শহর খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে। মার্কিন-ইসরাইলি কিথ সিগেলকে উত্তরে গাজা শহরের বন্দরে একই ধরণের অনুষ্ঠান করে মুক্তি দেওয়া হয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরে নিশ্চিত করেছে যে তিনজনই ইসরাইলে ফিরে এসেছেন।

ইসরাইলি প্রচারণা গোষ্ঠী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম তাদের মুক্তিকে ‘অন্ধকারে আলোর রশ্মি’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে জিম্মিদের আটক রাখার পর, গাজার জঙ্গিরা ১৯ জানুয়ারি ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুসারে তাদের মুক্তি দিতে শুরু করে।

হামাস ও তার মিত্র ইসলামিক জিহাদ এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরাইলের শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হেেছ।  যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।

শনিবার মোট ১৮৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের একজন মিশরীয় ছাড়া সবাই ফিলিস্তিনি।

হামাস সূত্র জানিয়েছে, আগামী শনিবার পঞ্চম জিম্মি-বন্দী বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।

ছয় সপ্তাহের এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মূল লক্ষ্য হলো ইসরাইলি কারাগারে বন্দী প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনকে মুক্তি দেওয়া, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।