বাসস
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৮

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও তার টিমের ১৫ সিদ্ধান্ত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার টিম তৃতীয় সপ্তাহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ঘোষণা থেকে শুরু করে বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি-তে ব্যাপক ছাঁটাই, গলফ বিরোধে হস্তক্ষেপ এবং ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নারী ক্রীড়ায় নিষিদ্ধ করার মতো নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা।

এখানে গত সপ্তাহের ১৫টি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো।

১. গাজা ‘দখল’ করার প্রস্তাব

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। তিনি বলেন, গাজা বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় রয়েছে এবং এটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে পুনর্গঠন করা হবে।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরাইল গাজা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে এবং সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসিত করা হবে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প এই প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন যে, এই পরিকল্পনার ফলে গাজার বর্তমান ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তরিত করা হবে।

তিনি এই স্থানান্তরকে স্থায়ী করার পক্ষে মত দিলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরে জানান যে, এটি আপাতত সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে।

তবে জোরপূর্বক জনগোষ্ঠী স্থানান্তর করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

২. ইউএসএআইডির হাজারো কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো

শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা (ইউএসএআইডি)'র হাজার হাজার কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ছাঁটাই কার্যকর হলে ইউএসএআইডির প্রায় ১০,০০০ কর্মীর মধ্যে মাত্র কয়েকশ’ জন অপরিহার্য কর্মী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম বিপর্যস্ত হবে এবং ইতোমধ্যেই বহু প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করতে চায়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বর্তমানে তিনি এই সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

৩. চীনের ওপর শুল্ক আরোপ এবং কানাডা ও মেক্সিকোকে ছাড়

মঙ্গলবার ট্রাম্প চীনা আমদানির ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করেছেন।

তবে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের হুমকি আপাতত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম দেশের উত্তরের সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন, যার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোয় অবৈধ অস্ত্র প্রবাহ সীমিত করতে রাজি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যমূল্য আরও বাড়তে পারে এবং মূল্যস্ফীতি তীব্র হতে পারে।

৪. সরকারি কর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগে উৎসাহ

ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি কর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের বিনিময়ে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।

তবে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে এক মার্কিন বিচারক এই পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।

এই কর্মসূচির আওতায় পদত্যাগী কর্মীদের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

তবে সমালোচকরা এর আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এবং সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো কর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে।

৫. আইসিসি'র ওপর নিষেধাজ্ঞা

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কিছু কর্মীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আইসিসির যেসব কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিক বা মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাবেন, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

দ্য হেগ-ভিত্তিক এই আদালত সম্প্রতি হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডার ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে, যা ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দুদেশের কোনোটাই এই আদালতের সদস্য নয়।

৬. সোমালিয়ায় আইএস-এর ওপর হামলা

ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, ১ ফেব্রুয়ারি সোমালিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর এক শীর্ষ পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে।

তিনি দাবি করেন, এই অভিযানে ‘অনেক সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে, তবে কোনো সাধারণ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

তবে এই হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

৭. জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার

মঙ্গলবার ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের প্রধান ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করবে। একই আদেশে উল্লেখ করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র আর জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি)-এ অংশগ্রহণ করবে না।

এছাড়া, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ইউনেস্কোর সদস্যপদ পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে।

৮. গুয়ানতানামো বে-তে অভিবাসীদের প্রথম বিমানের প্রেরণ

মঙ্গলবার, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গুয়ানতানামো বে-তে অভিবাসীদের প্রেরণের জন্য প্রথম বিমানের ব্যবস্থা করেছে।

এই পদক্ষেপটি সেই সময়ে নেওয়া হয় যখন ট্রাম্প কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী অবস্থিত গুয়ানতানামো বে-তে অভিবাসী আটক কেন্দ্র সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, আটকদের মধ্যে ছিলেন ভেনেজুয়েলার কারাগারে জন্ম নেওয়া ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামক গ্যাংয়ের সদস্য।

প্রতিবেদন অনুসারে, ১০ জন বন্দীকে পাঠানো হয়েছে এবং পূর্বে থাকা অভিবাসী আটকাগার সম্প্রসারণের ফলে সেখানে আনুমানিক ৩০,০০০ লোক রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

৯. ইউক্রেনকে বিরল খনিজ সরবরাহে বাধ্য করার দাবি

সোমবার, ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউক্রেনকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিনিময়ে আরও বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চান।

ট্রাম্পের মন্তব্যে তিনি বলেন, 'আমরা চাই যে, আমরা যা দিতে যাচ্ছি তার জন্য একটি গ্যারান্টি পাওয়া যাক... আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চাই যেখানে তারা তাদের বিরল খনিজ (মিনারেল) এবং অন্যান্য সম্পদের মাধ্যমে আমাদের দেওয়া সাহায্যকে সুরক্ষিত করবে।'

ইউক্রেনে প্রচুর পরিমাণে ইউরেনিয়াম, লিথিয়াম ও টাইটানিয়াম রয়েছে, যা প্রতিরক্ষা ও ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর দেশ আমেরিকান বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত।

১০. নারীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করা

বুধবার, ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যা ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নারী বিভাগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখবে।

এই আদেশে প্রধানত উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থানীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য নিয়ম, নির্দেশনা ও আইনি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের মতে, এই আদেশ ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকেও প্রযোজ্য হবে; তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যেসব ট্রান্সজেন্ডার অলিম্পিক অ্যাথলিট যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে ভিসার আবেদন করবেন, তাদের ভিসা প্রদান করা হবে না।

১১. ক্যালিফোর্নিয়ার বাঁধ থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া

সোমবার, ট্রাম্প আমেরিকান আর্মি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সকে ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ভ্যালির দুটি জলাধার থেকে বিলিয়ন গ্যালন পানি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন, যা জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসে মারাত্মক আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগতে পারতো।

ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়া এমন পানি সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছিল যা আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারতো, তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানি আগুনের স্থান থেকে ১০০ মাইল (প্রায় ১৬০ কিমি) দূরে অবস্থিত শুকনো লেকবেডে ছোঁড়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা মনে করেন, এই পানি লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌছতে পারবে না এবং সম্ভবত অপচয় হবে।

কংগ্রেসমেন টেড লিউ বলেন, বাঁধের পানি আগে কৃষকদের জন্য সংরক্ষিত করা হচ্ছিল, যাতে গ্রীষ্মের মৌসুমে তাঁদের কাজে লাগে।

১২. ‘অ্যান্টি-ক্রিশ্চিয়ান পক্ষপাত’ দূরীকরণে টাস্কফোর্স ঘোষণা

বৃহস্পতিবার, ট্রাম্প এমন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে ও সরকারের বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টি-ক্রিশ্চিয়ান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়।

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডকে ট্রাম্প কর্তৃক গঠিত টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে নিযুক্ত করা হয়েছে, যার কাজ হবে ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বলে বিবেচিত ‘অ্যান্টি-ক্রিশ্চিয়ান পক্ষপাত’ দূর করা।

এই আদেশটি ট্রাম্প জাতীয় প্রার্থনা প্রাতঃরাশে বক্তব্য প্রদান করার পরে জারি করা হয়।

১৩. গলফ বিশ্বের বিরোধে হস্তক্ষেপ

একজন অভিজ্ঞ গল্ফ খেলোয়াড় ও বিভিন্ন গল্ফ কোর্সের মালিক ট্রাম্প সম্প্রতি গল্ফ প্রতিযোগিতা নিয়ে উদ্ভূত বিরোধে হস্তক্ষেপ করেছেন।

প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা পিজিএ ট্যুর ও এর প্রতিদ্বন্দ্বী সিরিজ এলআইভি গল্ফ-এর মধ্যে বিরোধ দেখা দি আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি “ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট” ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করা যায়নি।

এই সপ্তাহে পিজিএ ট্যুর জানায়, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের ফলে তারা একটি চূড়ান্ত চুক্তির দিকে এগিয়ে এসেছে, যা পুরুষদের পেশাদার গলফ পুনঃসংগঠনের পথ সুগম করবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'আমরা রাষ্ট্রের ও খেলার কল্যাণে প্রেসিডেন্টকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছিলাম, এবং তাঁর নেতৃত্ব আমাদের চূড়ান্ত চুক্তির কাছাকাছি নিয়ে এসেছে,' এ ধরণের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।

১৪. সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তথ্য অপসারণ

গত সপ্তাহ থেকে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন মার্কিন সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে।

এতে পরিবহন, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অন্তর্ভুক্ত, যেখানে বন পরিষেবা পরিচালিত হয়।

কিছু জলবায়ু বিষয়ক তথ্য পরিবেশ সুরক্ষা এজেন্সি (ইপিএ), নাসা ও শক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে থেকে গেছে।

এছাড়া, এই সপ্তাহে জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডল প্রশাসনে (এনওএএ) কিছু কর্মীকে বিদেশি নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে এমন প্রতিবেদন, যেখানে বলা হয়েছিল, ইলন মাস্কের “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” (ডগে) নামে একটি সংস্থা, যা সরকারী সংস্থা নয়, এনওএএ-র অভ্যন্তরীণ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কর্মচারীদের বৈচিত্র্যময় দলের তথ্য সরিয়ে ফেলেছিল।

১৫. ইলন মাস্কের ‘ডগে’ প্রকল্পের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি

ট্রাম্প প্রশাসন ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন 'ডগে' নামক একটি উদ্যোগকে বিশেষভাবে সমর্থন করে, যা ফেডারেল সরকারের ব্যয় সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা সংকোচিত করতে কাজ করছে।

মার্কিন মিডিয়ার মতে এই উদ্যোগের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল পেমেন্ট সিস্টেমে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই সিস্টেম বছরে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ডগে' যেহেতু সরকারী সংস্থা নয়, তবুও তাদেরকে এমন একটি ফেডারেল ট্রেজারি সিস্টেমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ আমেরিকানদের সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে।

এই পদক্ষেপটি সরকারের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগের প্রভাবের প্রতিফলন।