শিরোনাম
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মানব অধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, নাগরিক অস্থিরতায় বিধ্বস্ত ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতিতে অপরাধীচক্রগুলো সহিংসতা সৃষ্টি এবং যৌন নির্যাতনের লক্ষ্যে শিশুদের নিয়োগ করছে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, অ্যামনেস্টি অনুমান করছে, হাইতিতে ১০ লক্ষাধিক শিশু সশস্ত্র গ্যাং নিয়ন্ত্রিত বা তাদের প্রভাবাধীন এলাকায় বাস করে। তরুণদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে নিন্দা করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে ১৪ জন হাইতিয়ান শিশুকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ও পুলিশের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার পাশাপাশি যানবাহন সরবরাহ বা মেরামত করার মতো কাজ করায় গ্যাংগুলো তাদের নিয়োগ করেছে।
অ্যামনেস্টি জানায়, আশেপাশের এলাকায় গ্যাং আক্রমণ বা গোষ্ঠীগুলোর এলাকা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে মেয়েরাও অপহরণ, ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
প্রতিবেদনে গণধর্ষণের শিকার ১০জন মেয়ের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে। দেশটিতে গর্ভপাত অবৈধ বলে তাদের গর্ভপাতের জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘গণধর্ষণ-সম্পর্কিত সহিংসতা এতটাই নিত্যনৈমিত্তিক বাস্তবতা হয়ে উঠেছে যে একই পরিবারের মধ্যে একাধিক ভুক্তভোগী খুঁজে পাওয়া অস্বাভাবিক নয়, এমনকি কখনও কখনও একই ভুক্তভোগী একাধিক আক্রমণের শিকার হয়েছে।’
স্কুল ও হাসপাতালে হামলা, সেইসাথে মানবিক সাহায্য বাধাগ্রস্ত করা শিশুদের ‘গুরুতর লঙ্ঘনের’ শিকার হওয়ার উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অ্যামনেস্টি।
হাইতিতে কোনো প্রেসিডেন্ট বা পার্লামেন্ট নেই। একটি অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের শাসনে পরিচালিত দেশটি অপরাধী চক্র, দারিদ্র্য ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সাথে সম্পর্ক যুক্ত চরম সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলায় লড়াই করছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বছর হাইতিতে গণধর্ষণের ফলে ৫ হাজার ৬০০ জনেরও বেশির মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় এক হাজার জন বেশি। ১০ লক্ষাধিক হাইতিয়ান বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা এক বছর আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি।