শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : মিয়ানমারে রোববার ধসে পড়া ভবনের ভেতরে বাসিন্দারা হন্যে হয়ে জীবিতদের খুঁজছেন।
উদ্ধারকর্মীরা তাদের তল্লাশি অব্যাহত রেখেছেন।
দু’দিন আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ও থাইল্যান্ডে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে প্রথম ৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কয়েক মিনিট পরই ৬.৭ মাত্রার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে, সেতু ও রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে এবং ১৭ লক্ষেরও বেশি লোক বাস করা ওইঅঞ্চল রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
রোববার ভোর হওয়ার সাথে সাথে চা দোকানের মালিক উইন লুইন তার এলাকার একটি প্রধান সড়কে তার ধসে পড়া দোকানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে এখানে প্রায় সাতজন মারা গেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি আরও মৃতদেহ খুঁজছি। কিন্তু আমি জানি যে, কেউ বেঁচে আছে কি না। আমরা জানি না ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কয়টি লাশ থাকতে পারে। তবে আমরা খুঁজছি।’
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে দেশটিতে কমপক্ষে ১,৬৪৪ জন নিহত ও ৩,৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে, কমপক্ষে ১৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে রোববার ব্যাংককে উদ্ধারকর্মীরা শুক্রবারের ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা আকাশচুম্বী ভবন ধসে আটকা পড়া জীবিতদের উদ্ধারের জন্য কাজ করেছে।
দেশটির রাজধানীতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে।