বাসস
  ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫৬
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১৯

দক্ষিণ সুদানের সকল ভিসা বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র : রুবিও

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের সকল ভিসা বাতিল ও নতুন আগমনকারীদের আটকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শনিবার অভিযোগ করেছেন যে, আফ্রিকান দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হওয়া নাগরিকদের গ্রহণ করছে না। 

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর ‘দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের সকল ভিসা বাতিল করার ও প্রবেশ রোধে ভিসা ইস্যু রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

অভিবাসন বিরোধী প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি, হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে এটিই ছিল প্রথম কোনো নির্দিষ্ট দেশের সমস্ত পাসপোর্টধারীদের আলাদা করে রাখার পদক্ষেপ।

রুবিও দক্ষিণ সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুযোগ নেওয়ার’ অভিযোগ করে বলেন, যখন কোনো দেশ, কাউকে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে চায়, তখন প্রত্যেক দেশকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের যথাসময়ে গ্রহণ করতে হবে।

রুবিও আরো বলেন, ‘দক্ষিণ সুদান পূর্ণ সহযোগিতা করলে, ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করতে প্রস্তুত থাকবে।’ 

বিশ্বের নবীনতম ও দরিদ্রতম দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ সুদান বর্তমানে রাজনৈতিক  উত্তেজনার শিকার।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময় নেওয়া হয়েছে যখন পর্যবেক্ষকরা  আশঙ্কা করছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো করে দক্ষিণ সুদান পুনরায় গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পরতে পারে। ওই যুদ্ধে ৪ লাখ মানুষ নিহত হয়।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসন দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ‘টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস (টিপিএস)’ প্রদান করে, যার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩ মে তারিখে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে নিরাপদে দেশে ফিরতে না পারা বিদেশি নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিপিএস প্রদান করে, যা মানুষকে নির্বাসন থেকে রক্ষা করে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, টিপিএস প্রোগ্রামের আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ সুদানের নাগরিক ছিলেন প্রায় ১৩৩ জন ও আরো ১৪০ জন আবেদন করার যোগ্য ছিলেন।

কিন্তু ‘ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ টিপিএস পদবী বাতিল করতে শুরু করেছে। জানুয়ারিতে ৬ লক্ষাধিক ভেনিজুয়েলার নাগরিকের সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে।

দক্ষিণ সুদান থেকে আফ্রিকানদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক লোকের প্রবেশের চেষ্টার পর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব অভিবাসী ইউরোপে ঝুঁকিপূর্ণ পথের বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে।