বাসস
  ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪

ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে এক ব্যক্তি অভিযুক্ত: মার্কিন বিচার বিভাগ

ঢাকা, ১২ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন বিচার বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, ‘মিস্টার স্যাটান’ নামে অনলাইনে পোস্ট করা এক মার্কিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য ৩২ বছর বয়সী শন মনপারকে আটক করা হয়েছে। ট্রাম্প, ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তাদের ‘হামলা ও হত্যার হুমকি দেওয়ার’ অভিযোগে একটি ফেডারেল ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে। 

এক বিবৃতিতে, মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে যে, ইউটিউবে নিজেকে ‘মিস্টার স্যাটান’ নামে পরিচয় দেওয়া একজন ব্যবহারকারী কর্তৃক এক পোস্ট করা হুমকি সম্পর্কে একটি জরুরি বার্তা পেয়েছে এফবিআই। যার ইন্টারনেট কার্যকলাপ মনপারের বাসভবনের সাথে মিলে যায় বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। 

কাকতালীয়ভাবে মনপার পেনসিলভানিয়ার বাটলার থেকে এসেছেন, যেখানে জুলাই মাসে একটি প্রচারণা সমাবেশের সময় ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।

মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই, মনপার আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমতি পেয়েছেন এবং তার অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করেন যে তিনি ‘ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি বন্দুক কিনেছেন এবং গোলাবারুদ মজুত করছেন।’ 

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মনপার ট্রাম্পের বিলিয়নেয়ার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের কথা উল্লেখ করে পোস্টে লিখেছেন: ‘না, আমাদের শুধু মানুষ হত্যা শুরু করতে হবে, ট্রাম্প, ইলন, ট্রাম্প নিযুক্ত সমস্ত সংস্থার প্রধান এবং যারা পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের সবাইকে’। এ ছাড়াও ওই ব্যক্তি বিভিন্নসময় বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন।

মার্কিন বিচার বিভাগ আরো বলেন, গত ৪ মার্চ, ‘লাইভ: কংগ্রেসে ট্রাম্পের ভাষণ’ শিরোনামের একটি ইউটিউব ভিডিওতে মনপার বলেন যে তিনি ’নিজেই তাকে হত্যা করতে যাচ্ছেন।

মনপার বাটলার টাউনশিপের বাসিন্দা। যেখানে গত ১৩ জুলাই ট্রাম্পকে হত্যা করার জন্য গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। প্রচারণা সমাবেশে গুলি এই রিপাবলিকান প্রার্থীর কানে লেগেছিল। গুলিতে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। 

অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বিবৃতিতে বলেছেন, নিশ্চিত থাকুন যখনই এবং যেখানেই হত্যা বা গণ-সহিংসতার হুমকি আসবে, বিচার বিভাগ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে, গ্রেপ্তার করবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগে বিচার করবে এবং সর্বোচ্চ উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’