শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সোমবার প্রথম ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হবেন। ডিসেম্বরে তার স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন জারি গণতান্ত্রিক দেশটিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়।
সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ইউন ৩ ডিসেম্বর রাজনৈতিক কার্যকলাপ স্থগিত ও মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপের নির্দেশ দিয়ে দেশে সামরিক শাসন আরোপের চেষ্টা চালান। বিরোধী এমপিরা এর বিপক্ষে ভোট দিয়ে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় ডিক্রিটি বাতিল করে দেয়।
এই বিপর্যয়কর প্রচেষ্টার ফলে জাতীয় পরিষদ ইউনকে অভিশংসন করে, যার পরপরই সাংবিধানিক আদালত ৪ এপ্রিল তাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণরূপে বরখাস্ত করে।
প্রেসিডেন্টের সব সুযোগ-সুবিধা হারানো সত্ত্বেও ইউন বিদ্রোহের অভিযোগে একটি ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। সোমবার থেকে তার এ বিচার শুরু হবে।
ফেব্রুয়ারিতে প্রাথমিক শুনানির সময়, ইউনের আইনজীবীরা তার আটক ‘পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ বলে যুক্তি দেখালে আদালত ওই যুক্তি গ্রহণ করে। যার ফলে গ্রেপ্তারের ৫২ দিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানুয়ারিতে ভোরের দিকে এক অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছিল। তিনিই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেপ্তার হন।
দোষী সাব্যস্ত হলে, ইউন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।
শুক্রবার, ৬৪ বছর বয়সী সাবেক নেতা প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছেড়ে সিউলে তার ব্যক্তিগত বাড়িতে ফিরে আসেন। বিদায় নিয়ে ফিরে যাওয়ার পথে তিনি সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখন, আমি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ফিরে এসেছি। আমি আমাদের দেশ ও জনগণের সেবায় একটি নতুন পথ খুঁজব।’
ইউনের অপসারণের সাথে সাথে, দক্ষিণ কোরিয়া তার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য ৩ জুন একটি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত। ততদিন পর্যন্ত, দেশটি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক-সুর শাসনে পরিচালিত হবে।