শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর নতুন প্রশাসনের অন্যতম প্রধান সমর্থক সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার উপসাগরীয় দেশ কাতারে তার প্রথম সরকারি সফরে যাচ্ছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানির উদ্ধৃতি দিয়ে দামেস্ক থেকে এএফপি এ কথা জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে সিরিয়া এবং কাতারের পতাকার ছবিসহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে দেশটি প্রথম দিন থেকেই সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কখনও তাদের পরিত্যাগ করেনি সেই দেশে আজ আমরা প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তার প্রথম সরকারি সফরে যাচ্ছি।’
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিদ্রোহী জোটের নেতৃত্ব দেয় শারা’র ইসলামপন্থি দল হায়াত তাহরির আল-শাম। তার নতুন প্রশাসন তুরস্ক ও কাতারের পাশাপাশি কিছু আরব রাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের সমর্থন পেয়েছে।
২০১১ সালে আসাদের সরকার শান্তিপূর্ণ বিদ্রোহ দমন করার পর সশস্ত্র বিদ্রোহকে সমর্থনকারী প্রথম আরব দেশগুলোর মধ্যে কাতার অন্যতম। অন্যান্য আরব দেশগুলোর মতো, আসাদের অধীনে দোহা সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেনি।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নতুন কর্তৃপক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে এবং শারা বেশ কয়েকটি আরব দেশ এবং তুরস্ক সফর করেছেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি জানুয়ারিতে দামেস্ক সফর করেন। আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে তিনিই সিরিয়া সফর করেন।
সিরিয়ার অবকাঠামো পুনর্নিমাণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দোহা এবং জানুয়ারিতে সিরিয়াকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে। যার ফলে ধীরে ধীরে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আসাদের পতনের পর দামেস্কে পুনরায় দূতাবাস চালু করে তুরস্ক, এরপর কাতার দ্বিতীয় দেশ যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
শারা এবং শাইবানি রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করেন, যিনি সিরিয়ার পুনর্গঠনে তার দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
প্রায় ১৪ বছরের যুদ্ধাবসানের পর পুনর্গঠনের জন্য সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ ধনী উপসাগরীয় দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছে।