শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : কর বৃদ্ধি এবং মার্কিন শুল্কের কারণে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা এবং চাকরির শূন্যপদ হ্রাস পেয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি এক তথ্যে দেখা গেছে।
লন্ডন থেকে এএফপি এতথ্য জানায়।
অফিস ফর ন্যাশনাল পরিসংখ্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্চ মাসের প্রাথমিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারি থেকে ৭৮ হাজার কমেছে।
পরিসংখ্যান মতে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে ৮ হাজার কমেছে।
২০২১ সালের পর মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে চাকরির শূন্যপদ প্রথমবারের মতো মহামারি উত্তর নিচে নেমে এসেছে। তবে, মজুরি বৃদ্ধির হার উচ্চতর ছিল। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে গত তিন মাসে কর্মচারীদের গড় নিয়মিত আয়ের বার্ষিক বৃদ্ধি ৫ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
এই পরিসংখ্যানগুলো অক্টোবরে লেবার গভর্নমেন্ট প্রথম বাজেটে ব্যবসায়িক কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের পূর্ববর্তী সময়কালকে অন্তর্ভুক্ত করে।
যুক্তরাজ্যের ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদ অ্যাশলে ওয়েব বলেছেন, এটি ‘কিছু আনুমানিক প্রমাণ করে যে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক কর বৃদ্ধি এবং ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় এই মাস থেকে কর্মী সংখ্যা হ্রাস করে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে।’
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে কর বৃদ্ধির সমালোচনা করে সতর্ক করে দিয়েছে, এর ফলে তারা নিয়োগ বন্ধ এবং বেতন বৃদ্ধি সীমিত করতে পারে।
পরিসংখ্যানে আরো বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে শেষের তিন মাসে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশে রয়েছে।
ওয়েব বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন শুল্ক নীতির বিশৃঙ্খল পদ্ধতির কারণে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি প্রভাবিত হতে পারে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের করেছে। যা ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ির মতো খাতকেও প্রভাবিত করেছে।
যুক্তরাজ্যের কেপিএমজির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়েল সেলফিন বলেন, বেতন বৃদ্ধি এখনও মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মাত্রার ওপরে থাকায় (বিওই) সম্ভবত সুদের হার কমানোর জন্য তার পন্থা ধীরে ধীরে বা অব্যাহত রাখবে।
তিনি যোগ করেন, তবে এটি দেশীয় অর্থনীতির জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিরুদ্ধে সেট করা হবে, যা শ্রম বাজারের কার্যক্রমকে হতাশ করতে পারে।
বিওই এই বছর, মার্কিন শুল্ক হুমকির মধ্যে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক আস্থার অবনতিকে দায়ী করে সম্প্রতি দেশের মোট উৎপাদনের আংশিক পূর্বাভাস দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেব্রুয়ারিতে তার মূল সুদের হার এক চতুর্থাংশ কমিয়েছে।