বাসস
  ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৬

কঙ্গোতে অগ্নিকাণ্ডের পর নৌকাডুবিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে 

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে জ্বালানি বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লেগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও কয়েক ডজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন।

কিনশাসা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। 

উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জাতীয় ডেপুটিদের একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান জোসেফাইন-প্যাসিফিক লোকুমু জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম কঙ্গো নদীতে কাঠের একটি নৌকায় শত শত যাত্রী নিয়ে নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ইকুয়েটুর প্রদেশের রাজধানী এমবান্ডাকা শহরের কাছে পৌঁছালে নৌকাটিতে আগুন ধরে যায়। 

লোকুমু এএফপিকে বলেন, গত বুধবার ১৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আরো ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের শরীর পুড়ে গেছে।

স্থানীয় নাগরিক সমাজের নেতা জোসেফ লোকন্ডো বলেন, ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে, কিছু পুড়ে গেছে, অন্যরা ডুবে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি মৃতদেহগুলো দাফন করতে সাহায্য করেছেন। 

লোকুমু জানান, নৌকায় রান্না করার সময় আগুন থেকে জ্বালানি বিস্ফোরণের ফলে আগুন লেগেছে। যার ফলে অনেক শিশু এবং মহিলা নিহত হয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তীর থেকে অনেক দূরে আটকে থাকা একটি লম্বা নৌকা থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে এবং ছোট জাহাজে থাকা লোকজন তা দেখছে।

ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে মোট কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি, তবে লোকুমু জানিয়েছেন যে জাহাজটি ‘শত শত’ যাত্রী ছিল।

লোকোন্ডো বলেন, বেঁচে যাওয়া কিছু লোককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি শুক্রবার আরো বলেন, এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে, ইকুয়েটুরে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪৭ জন মারা যায়। 

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবরে পূর্ব কঙ্গোর কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে ২০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। 

২০১৯ সালে কিভু হ্রদে আরেকটি জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।