শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স হলি সির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে শনিবার সকালে ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে এএফপি জানায়,
ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত ভ্যান্স ও তার প্রতিনিধিদল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (০৮০০ জিএমটি) নাগাদ পোপের সরকারি বাসভবন অ্যাপোস্টলিক প্রাসাদে পৌঁছেন।
জেডি ভ্যান্সের ভ্যাটিকানের স্টেট সেক্রেটারি কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন এবং ভ্যাটিকানের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক সচিব পল রিচার্ড গ্যালাঘারের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র দুই মাস আগেই পোপ ফ্রান্সিস নতুন মার্কিন প্রশাসনকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন।
এর আগের দিনই ভ্যান্স ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আলোচনা হয়।
ভ্যান্স আশা করছেন, বিশ্বের ১৪০ কোটি ক্যাথলিকের নেতা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করতে পারবেন। বর্তমানে পোপ জীবনঘাতী নিউমোনিয়া থেকে সেরে উঠছেন এবং হাসপাতালের প্রায় ৪০ দিন কাটানোর পর বিশ্রামে আছেন।
৪০ বছর বয়সী ভ্যান্স, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সঙ্গে বৈঠকের পর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় গুড ফ্রাইডের প্রার্থনায় অংশ নেন।
ভ্যান্স ইস্টার রবিবারের প্রার্থনায় উপস্থিত থাকবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে ওই দিন পোপ ফ্রান্সিসের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে, যখন হাজারো ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক ভ্যাটিকানে জড়ো হবেন।
ভ্যান্স ও পোপের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকটি কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণও হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিস যুক্তরাষ্ট্রের বিশপদের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যাপক হারে অভিবাসী বহিষ্কারের পরিকল্পনাকে ‘গভীর সংকট’ আখ্যায়িত করে সমালোচনা করেন, যা হোয়াইট হাউসের রোষানলে পড়েছিল।
এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র পোপকে ‘ধর্ম নিয়েই থাকতে’ পরামর্শ দেয়।
গত বছর পোপ ফ্রান্সিস এক ব্যতিক্রমী হস্তক্ষেপে মার্কিন নির্বাচনী আবহে ‘অভিবাসনবিরোধী মনোভাবকে পাগলামি’ বলে মন্তব্য করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ক্যাথলিকদের অতিরিক্ত কট্টর অবস্থানের সমালোচনা করেন।
ভ্যান্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে রক্ষণশীল কিছু চার্চের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যারা অভিবাসন, সমকামী অধিকারের মতো সামাজিক ন্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ে পোপের অবস্থানের বিরোধিতা করে।
২০১৭ সালের মে মাসে, ট্রাম্পের প্রথম দফার মেয়াদকালে তিনি ভ্যাটিকানে আধা ঘণ্টার এক বৈঠকে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।