শিরোনাম
ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত একটি চীনা কোম্পানির নির্বাহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ভবনটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে পড়ায় বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে।
ব্যাংকক থেকে এএফপি জানায়, গত মাসে প্রতিবেশী মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানলে ৩০ তলা উঁচু টাওয়ারটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলে ৪৭ জন নিহত হন এবং আরও ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের আইনমন্ত্রী থাওয়ি সোডসঙ জানান, চায়না রেলওয়ে নাম্বার ১০-এর চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরেন বিজনেস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এদের মধ্যে তিনজন থাই নাগরিক।
ন্যায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই চারজনের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি চীনা 'কোম্পানি প্রতিনিধি', যার নাম প্রকাশ করা হয়েছে ঝাং হিসেবে।
চায়না রেলওয়ে নাম্বার ১০ একটি ইতালীয়-থাই কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্টেট অডিট অফিস টাওয়ার নির্মাণে যুক্ত ছিল, যেটি পরবর্তীতে ধসে পড়ে।
ঝাং কোম্পানির ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক হিসেবে তালিকাভুক্ত, আর বাকি ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা তিনজন থাই নাগরিকের নামে।
তবে থাওয়ি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের কাছে প্রমাণ আছে... যে এই তিন থাই নাগরিক প্রকৃতপক্ষে বিদেশি ব্যক্তিদের হয়ে শেয়ার ধারণ করছিলেন।'
ফরেন বিজনেস অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনো কোম্পানিতে বিদেশিদের মালিকানা ৪৯ শতাংশের বেশি হওয়া আইনত নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া, থাওয়ি জানান, এই ধস সংক্রান্ত একাধিক তদন্ত চলমান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং প্রকৌশলীদের স্বাক্ষর জাল করে নির্মাণ তত্ত্বাবধানের চুক্তি করার অভিযোগ।
এ মাসের শুরুতে থাই নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, ভবনটির নির্মাণস্থলে ব্যবহৃত কংক্রিট শক্তিশালী করতে যে ইস্পাত রড (রিবার) ব্যবহার করা হয়েছিল, তার কিছু নিম্নমানের বলে পরীক্ষায় ধরা পড়ে।
গত ২৮ মার্চ সংঘটিত বিধ্বংসী ভূমিকম্পে থাইল্যান্ড ও প্রতিবেশী মিয়ানমারে ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। এটি ছিল রাজধানী ব্যাংককে ধসে পড়া একমাত্র বড় ভবন।