বাসস
  ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩

ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) পাকিস্তানি সেনারা গুলি চালানোর পর তার ‘পাল্টা জবাব’ দেয়ার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা কিছু ভারতীয় চেক পোস্টে ‘গুলি চালানোর পর’ ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।

তাদের দাবি, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘উপযুক্ত জবাব’ দিয়েছে। তবে গোলাগুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির উদ্ধৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি থেকে পিটিআই এই খবর জানায়।

সূত্রের দাবি, ‘গত রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কিছু জায়গায় ছোট অস্ত্রের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। কার্যকরভাবে গুলি চালানোর জবাবও দেয়া হয়েছে।’

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই এই গুলি বিনিময়ের ঘটনা  ঘটেছে।

তবে এ নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। জবাবে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধেও নানা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

এদিকে  জাতিসংঘ ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

ভারত শাসিত কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বৃহস্পতিবার বলেছেন, সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের ‘সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি’। তবে তিনি ‘পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে এবং অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করছেন’।

দুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘২২ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছি আমরা।হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত এবং  বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।’

তিনি উভয় সরকারকে ‘সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপের দিকে না যায় তা নিশ্চিত করতে’ উৎসাহিত করেছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থপূর্ণ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যেতে পারে এবং তা-ই করা উচিত।