শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতভর এই হামলা চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ভøাদিমির, ‘থামো।’ এই সময় ট্রাম্প রাশিয়ার হামলায় মোটেও খুশি নন বলেও জানান।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
চলতি বছরের সবচেয়ে বড় এই হামলাকে ট্রাম্প ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে উল্লেখ করেছন। বলেছেন, ‘খুব খারাপ সময়’ এই হামলা চালানো হলো। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে শান্তি চুক্তি করতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে এবং আগুন লেগেছে। উদ্ধারকারীরা ১২ ঘন্টারও বেশি সময় পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন।
এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে মস্কোর পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এই হামলা হলো, যখন কিয়েভ এবং মস্কো উভয়ই ট্রাম্পকে দেখানোর চেষ্টা করছে যে তারা দ্রুত শান্তি চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে উল্লেখ করে বলেন, ‘কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় আমি খুশি নই। প্রয়োজন ছিল না। এবং সময়টাও ঠিক নয়। ভøাদিমির, থামো! সপ্তাহে ৫০০০ সৈন্য মারা যাচ্ছে। এবার শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করা যাক।’
এরআগে হোয়াইট হাউস হুমকি দিয়েছে, যদি শিগগির কোনো অগ্রগতি না হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন শান্তি চুক্তি নিয়ে আর এগোবে না। তারা তাদের প্রচেষ্টা ত্যাগ করবে।
এছাড়া বুধবার ট্রাম্প জেলেনস্কির একটি মন্তব্যের জন্য তাকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুনরায় বলেছেন, কিয়েভ রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে স্বীকৃতি দেবে না।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে ‘চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ‘প্রস্তুত’। বৃহস্পতিবার অনলাইনে প্রকাশিত সিবিএস নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ল্যাভরভ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘একটি চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত, তবে এই চুক্তির কিছু নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে যা সূক্ষ্মভাবে সংশোধন করা প্রয়োজন’।