বাসস
  ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮

নতুন চুক্তি না হলে ইরানের ওপর হামলায় ‘অগ্রণী ভূমিকা’ নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় নতুন চুক্তি না হলে দেশটির ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘অগ্রণী ভূমিকা’ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ২২ এপ্রিল সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হলেও শুক্রবার এটি প্রকাশিত হয়। সেখানে ট্রাম্প নতুন চুক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।

টাইম ম্যাগাজিনকে ট্রাম্প বলেন, ‘সম্ভবত আমাদের হামলা চালাতেই হবে, কারণ ইরানের হাতে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে দেওয়া যাবে না।’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। তৃতীয় দফা আলোচনা আগামী শনিবার ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রোমে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকের পর উভয়পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করলেও কোনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।

এই আলোচনায় ইরানের শত্রু রাষ্ট্র ইসরাইলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা প্রতিটি বিষয়েই একমত।’

টাইম ম্যাগাজিন জানতে চায়, তিনি কি ইসরাইলকে একতরফাভাবে ইরানের ওপর হামলা চালাতে বাধা দিয়েছেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তা ঠিক নয়।’

‘আমি তাদের থামাইনি। তবে তাদের জন্য পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক করিনি, কারণ আমি মনে করি, হামলার পরিবর্তে একটি চুক্তি করা সম্ভব,’ বলেন তিনি।

‘শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি বলেছিলাম, বোমা পড়ার চেয়ে চুক্তিই ভালো।’

তিনি নেতানিয়াহুর কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে পারে—এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘তিনি যুদ্ধের পথে হাঁটতেই পারেন। কিন্তু  তাতে আমাদের টেনে নেওয়া হচ্ছে না'

তবে ট্রাম্প যোগ করেন, ‘যদি চুক্তি না হয়, তাহলে আমি স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যেতেও রাজি আছি।’

তিনি বলেন, ‘যদি চুক্তি না হয়, তাহলে আমিই দলের নেতৃত্ব দেব।’

২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে ইরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।

তেহরানকে দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করার অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা শক্তিগুলো এবং মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে বিবেচিত ইসরাইল। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

টাইম ম্যাগাজিন জানতে চায়, তিনি কি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি অথবা প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই।’