শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): সামরিক আইন জারির ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল অভিশংসিত হওয়ায় আগামী ৩ জুন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রোববার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে তাদের সাবেক দলীয় প্রধান লি জায়ে-মিয়ংকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
লি জায়ে-মিয়ং দলের নেতা-কর্মীদের ৮৯ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন।
গত বছর ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির ঘটনায় অভিশংসিত হন ইউন সুক-ইওল। চলতি বছর ৩ জুন দেশটিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানী সিউলের উত্তর-পশ্চিমে গোয়াংয়ে এক দলীয় সম্মেলনে লি বলেন, জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছেন, যাতে বিদ্রোহ ও পশ্চাদপসরণের পুরনো যুগের অবসান ঘটে।
৬০ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, আমি সত্যিকার অর্থে একটি নতুন জাতি গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনাদের আস্থার প্রতিদান দেব। আশা ও আবেগে পরিপূর্ণ একটি প্রকৃত কোরিয়া প্রজাতন্ত্র গড়ে তুলব।
২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ব্যবধানে ইউনের কাছে হেরে যান লি।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, লি অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেন। সর্বশেষ গ্যালাপ জরিপে তিনি ৩৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন, যেখানে অন্যান্য সকল প্রতিযোগী একক অঙ্কে ভোট পেয়েছেন।
আগামী শনিবার পিপিপি তাদের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পিপিপির সাবেক প্রধান হান ডং-হুন এবং ইউনের অধীনে সাবেক শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু দলের প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন।
এদিকে লি জায়ে-মিয়ংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ঘুষ ও প্রচারণা আইন লঙ্ঘন। এ অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন লি।
নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে গত মার্চে সিউলের একটি আদালত লি’কে খালাস দেন। এর মাধ্যমে তার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা দূর হয়।
লি এখনো দুর্নীতির অভিযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। তবে জুনে তিনি নির্বাচিত হলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে এই বিচার স্থগিত করা যেতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।