বাসস
  ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৪৮

কারাবন্দী মিসরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে নতুন মামলা, জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মিসরীয় কর্তৃপক্ষ রোববার সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আহমেদ তানতাবিকে তার কারাগারের সেল ষ থেকে নতুন দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে নিয়ে গিয়ে আবারও কারাগারে পাঠিয়েছে, তার আইনজীবী খালেদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

কায়রো  থেকে এএফপি জানায়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রসিকিউটররা তানতাবির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি প্রদান এবং জনসমাবেশ আহ্বান’ করার অভিযোগ আনে। 

আলী এএফপিকে জানান, তাকে গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আহ্বান করার জন্য এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তানতাবির উক্ত দুটি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

‘তার মুক্তির আদেশ দেওয়ার পরও এই দুটি মামলা সক্রিয় রয়েছে এবং সাবেক সংসদ সদস্যকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হতে পারে,’ আলী বলেন।

তানতাবির আগামী মাসে এক বছরের কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পর মুক্তি পাবেন।

তানতাবির ২০২৩ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গত বছর তিনি এবং তার প্রচারণার ২২ জন সদস্যকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

তাদের ‘সরকারি অনুমোদন ছাড়া নির্বাচনী প্রচারপত্র ছড়ানোর’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো নিয়মিতভাবে মিসরের ‘ঘূর্ণন দরজা নীতি’র সমালোচনা করে এসেছে, যেখানে বন্দীদের মুক্তি না দিয়ে নতুন অভিযোগ দেয়া হয়।

তানতাবি অভিযোগ করেছিলেন যে কর্তৃপক্ষ তাকে বিভিন্ন অজুহাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন সংগ্রহে বাধা দিয়েছিল। 

অপরদিকে তানতাবি তার সমর্থকদের অনানুষ্ঠানিক ‘জনপ্রিয় সমর্থন’ ফর্ম পূরণের অনুরোধ করেন, যা কর্তৃপক্ষ নির্বাচনী প্রতারণা হিসেবে চিহ্নিত করে।

তিনি শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৪,০০০ সমর্থন সংগ্রহ করতে সক্ষম হন, যা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৫,০০০ সমর্থনের প্রাপ্যতার চেয়ে অনেক কম।

সাবেক সংসদ সদস্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, নির্বাচনটি ‘একটি ব্যাপক দমনমূলক কৌশলের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল,’ যেখানে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে দেয়ার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে আরেক প্রার্থী হিসাম কাসেমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

সিসি ৮৯.৬ শতাংশ ভোটে নির্বাচনে জয়ী হন।

জাতিসংঘ গত বছরের মে মাসে তানতাবির অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানায়।