শিরোনাম
ঢাকা ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মে মাসে জার্মানিতে নতুন সরকার গঠনের পর অর্থনৈতিক পুনজাগরণ হবে এমন আশায় জার্মান ভোক্তাদের মনোবল বেড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগেও রয়েছেন তারা। জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।
জনমত জরিপ সংস্থা জিএফকে এবং ন্যূরেমবার্গ ইনস্টিটিউট ফর মার্কেট ডিসিশনস (এনআইএম) পরিচালিত পূর্বাভাসমূলক সূচকটি ছিল মাইনাস ২০.৬ পয়েন্ট, যা আগের মাসের তুলনায় ৩.৭ পয়েন্ট বেশি। এই নিয়ে দ্বিতীয় মাসের মতো সূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি দীর্ঘ মন্দার পরও এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করছে।
প্রায় ২০০০ জনের উপর নিয়মিত জরিপের জন্য এটি ছিল টানা দ্বিতীয় বৃদ্ধি, যদিও ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতি দীর্ঘ মন্দা থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার সময় সূচকটি নিম্ন স্তরেই রয়ে গেছে।
এনআইএম ভোক্তা বিশেষজ্ঞ রোল্ফ বুয়ের্কল বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে এখনও ‘জার্মানিতে ভোক্তাদের মনোভাবের উপর স্থায়ী প্রভাব পড়েনি’।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর দীর্ঘ আলোচনার পর মধ্য-বাম এসপিডির সাথে জোটের নেতৃত্বে রক্ষণশীল ফ্রিডরিখ মের্জ আগামী সপ্তাহে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি কেন্দ্র-ডানপন্থী ইউনিয়ন পার্টির সঙ্গে মধ্য-বামপন্থী এসপিডি’র জোটে নেতৃত্ব দেবেন।
গত নভেম্বরে বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সরকার ভেঙে পড়ার পর থেকে জার্মানি কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে। তখন দেশটি নতুন বাজেট এবং কিছু ব্যয় কর্মসূচি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই ২০২৫ সালে প্রবেশ করে দেশটি।
ক্ষমতায় আসার আগেই ফ্রিডরিখ ম্যার্জ গত দুই বছর ধরে সংকুচিত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে জার্মান সংবিধানে নির্ধারিত ব্যয় সীমা শিথিল করে প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামো খাতে বিপুল ব্যয় পরিকল্পনা।
ভোক্তা জরিপে বিশেষভাবে সঞ্চয়ের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার দিকটি উঠে এসেছে, যা একটি উজ্জ্বলতর মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। তবে এই ইতিবাচক প্রবণতা কতটা স্থায়ী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
এনআইএম ভোক্তা বিশেষজ্ঞ রোল্ফ বুয়েরকেল বলেন, "এটি মূলত নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের বাকি অংশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ কীভাবে এগোয়, তার ওপর।
রপ্তানিনির্ভর জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য দেশটির সরকার গত সপ্তাহেই ২০২৫ সালের জন্য প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস শূন্য শতাংশে নামিয়ে এনেছে।