শিরোনাম
জেনেভা, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক শুক্রবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সহিংসতা ক্রমেই মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষের প্রতি অহেতুক উত্তেজনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তুর্ক আরো সহিংসতা ও রক্তপাতের দিকে ধাবিত করতে পারে, এমন ইসরাইলি পদক্ষেপেরও সমালোচনা করে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
এই বছরের গোড়ার দিকে সংঘাতে হামলাকারী, জঙ্গি ও বেসামরিক লোকসহ ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও এক শিশু, ছয় ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও একজন ইউক্রেনীয় নিহত হয়।
তুর্ক এক বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘ শুধুমাত্র মৃতদেহ, বিপর্যস্ত জীবন ও চরম হতাশাজনিত সহিংসতা ও জবরদস্তির ব্যর্থ পদক্ষেপ আর না বাড়িয়ে, তার পরিবর্র্তে আমি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার অযৌক্তিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান গত সপ্তাহে পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের গুলিতে ছয় ইসরায়েলি ও এক ইউক্রেনীয় নিহত হওয়ার পর, ইসরায়েল সরকার কর্তকৃ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সহজ করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের বিস্তার ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়েরই হতাহতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। তুর্ক ‘সরকারি বা অন্য যে কোনো কর্তৃপক্ষীয় পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গকে ‘অপরের প্রতি ঘৃণা উস্কে দেয়, এমন ভাষা ব্যবহার পরিহারের আহ্বান জানান।’ জেরুজালেম হামলার পাল্টা জবাবে ইসরায়েলের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও বাড়িঘর ধ্বংস ‘সম্মিলিত শাস্তি’রই সামিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন ও অপব্যবহার বৃদ্ধিকে প্ররোচিত করছে।’
গত সপ্তাহে পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের গুলি হামলার ঘটনার পরের দিন, ইসরায়েল-অধিভুক্ত পূর্ব জেরুজালেমের প্রাচীর ঘেরা ওল্ড সিটির ঠিক বাইরে সিলওয়ান পাড়ায় একটি ১৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি বালক দুই ইসরায়েলিকে গুলি করে আহত করে। জেরুজালেমে কয়েকটি হামলার পর ২৬ জানুয়ারী পশ্চিম তীরে ২০ বছরের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সহিংসতায় জেনিনে সশস্ত্র জঙ্গি সহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানান। এএফপির পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে প্রায় ২৩৫ জন মারা গেছে, যার প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাণহানিই ছিল ফিলিস্তিন পক্ষের।