শিরোনাম
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
যুদ্ধের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ‘ন্যায্য দাবি এবং স্থায়ী’ শান্তির আহবান জানিয়ে সদস্য দেশগুলোর বিপুল ভোটে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের এই দাবি জানানো হয়।
ইউক্রেন একটি অবাধ্যতামূলক ভোটে শক্তিশালী সমর্থন অর্জন করেছে, যাতে জাতিসংঘের ১৯৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৪১টি দেশ ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। সাতটি দেশ বিরোধিতা করে এবং চীন ও ভারতসহ ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
নৃশংস যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীর প্রাক্কালে কিয়েভের সমর্থন সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। গত অক্টোবরে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় সংযুক্ত করার ঘোষণার নিন্দায় ১৪৩টি দেশ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ‘আজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ খুব স্পষ্ট কথা বলেছে।’
‘এই ভোট প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এই ভোটকে ‘জাতিসংঘ সনদের নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির জন্য একটি শক্তিশালী আহ্বান’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘ভাল এবং মন্দের মধ্যে’ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুই দিনের বিতর্কের পর এই ভোটের সমর্থন এসেছে।
তিনি এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন যে কিয়েভ শুধুমাত্র পশ্চিমাদের সমর্থন পাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের প্রধান মিত্রদের সমর্থন পাচ্ছে।
কুলেবা বলেছেন, ‘ভোটটি এই যুক্তিটিকে অস্বীকার করে যে গ্লোবাল সাউথ ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়ায় না। কারণ, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী অনেক দেশ আজ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সমর্থনটি অনেক বিস্তৃত এবং এটি শুধুমাত্র একত্রিত হতে থাকবে ও দৃঢ় হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক, ‘যারা রাশিয়ান আগ্রাসনের বার্ষিকীতে ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন’ তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব বোঝে সত্য কার পক্ষে।
প্রস্তাবটি ইউক্রেনের ‘সার্বভৌমত্ব’ এবং ‘আঞ্চলিক অখন্ডতা’ জন্য সমর্থন পুনঃনিশ্চিত করেছে। এটি ইউক্রেনের ভূমির যে কোন অংশ রাশিয়ার অন্ত:র্ভুক্তির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।