শিরোনাম
মুরিলো, কলম্বিয়া, ৮ এপ্রিল, ২০২৩(বাসস ডেস্ক) : তুষার আচ্ছাদিত আন্দিয়ান আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ধোঁয়া উড়াছে। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের আরেকটি মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাতের হুমকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। অগ্নুৎপাত ঘটলে আশেপাশের ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
মার্চের শেষ দিক থেকে আগ্নেয়গিরিটির দৈনিক কম্পনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১২,০০০ এ উন্নীত হলে সেখানে অগ্নুৎপাতের হুমকি দেখা দেয়। সরকারের সরিয়ে নেওয়ার জরুরি আহ্বান সত্ত্বেও কলম্বিয়ান আন্দিজের (আন্দেজ পর্বতমালার কলম্বিয়ান অংশে) নেভাডো দেল রইজ আগ্নেয়গিরির পাদদেশে হাজার হাজার গ্রামবাসী তাদের ফসলের যতœ নিতে এবং পশু পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। খবর এএফপি’র।
সরকারের সতর্কতার মাত্রা হলুদ থেকে কমলা পর্যন্ত বাড়িয়েছে এবং আগ্নেয়গিরির পাদদেশে বসবাসকারী ৭,৫০০ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বিপদ অঞ্চলে বসবাসকারীদের অনেকই এলাকা ছেড়ে যেতে রাজি নয়।
প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লুইস ফার্নান্দো ভেলাস্কো বলেন, ৫৭ হাজারের বেশি লোক এমন সব এলাকায় বাস করে যেগুলো অগ্নুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে গ্রামবাসীদের কাছে গরু, ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল এবং হাঁস-মুরগি থাকায় তারা সেগুলো চুরি যাওয়ার ভয়ে প্রতিরোধমূলক উচ্ছেদে তারা রাজি নয়। সরকার বলেছে, আশপাশে ৮০ হাজার প্রাণীকে সরানোর ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
১৯৮৫ সালে এই অঞ্চলে নভাডো দেল রুইজের একটি ভয়াবহ অগ্নুৎপাত ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছিল। ওই অগ্নুৎপাতে কয়েক ঘন্টার মধ্যে, লাভার উদগীরণ আগ্নেয়গিরির তুষারের আচ্ছাদনের কিছু অংশ গলে যায় এবং কাদা, ছাই এবং পাথরের প্রচন্ড প্রবাহ পাহাড়ের ধারে প্রবাহিত হয়ে আরমেরো শহরকে ঢেকে দেয়। ওই অগ্নুতপাতে ২৫,০০০ মানুষের প্রাণহানী ঘটে। এটি ছিল দেশটির স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কর্তৃপক্ষ সে ধরণের আরেকটি ভয়াবগ অগ্নুৎপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।