শিরোনাম
রিয়াদ, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : বেইজিংয়ে সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকের দুই দিন পর একটি সৌদি প্রতিনিধিদল শনিবার তেহরানে পৌঁছেছে। গত মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত হওয়ার পর, বৃহস্পতিবার চীনে তাদের কূটনীতি প্রধানদের মধ্যে নজিরবিহীন বৈঠকের পর এই সফর হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
রিয়াদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল সাত বছরের অনুপস্থিতির পর তাদের মিশন পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা করতে ইরানে পৌঁছেছে। সরকারী সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, মন্ত্রণালয় সফরটিকে ২০১৬ সালে বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চীনের মধ্যস্থতায় দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে ১০ মার্চ গৃহীত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ বলে অভিহিত করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এখন একসঙ্গে কাজ করায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেইজিং চুক্তির বাস্তবায়নে দুই পক্ষ পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে প্রসারিত করে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি তৈরিতে সহায়তার পথ অনুসরণের গুরুত্বের ওপর জোর দিবে।’ এসপিএ জানিয়েছে, শনিবার একটি সৌদি কারিগরি প্রতিনিধিদল তেহরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইরানের প্রোটোকল প্রধান মেহেদি হনারদস্তের সাথে দেখা করেছে।
গত মাসের চুক্তিতে সুন্নি মুসলিম প্রধান সৌদি আরব, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক ও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুননির্মাণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তির অধীনে, উভয় দেশ দুই মাসের মধ্যে তাদের দূতাবাস ও মিশন পুনরায় খুলবে এবং ২০ বছরেরও বেশি আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। কায়রো সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রাভা সাইফ আল্লাম একে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে ‘একটি অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে চীনের ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও, ওয়াশিংটন সতর্কতার সাথে সৌদি আরব ও মার্কিনবিমুখ ইরানের মধ্যেকার এই পুণর্মিলনকে স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রিয়াদে বিশিষ্ট এক শিয়া ধর্মগুরুর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলার পর দুই দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করে। অতঃপর সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চুক্তির পর থেকে বিরোধ সমাধানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বহুগুণ বেড়েছে।