শিরোনাম
সিউল, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস/এএফফি):- উত্তর কোরিয়া বলেছে, তার সর্বশেষ অস্ত্র পরীক্ষাটি ছিল একটি ‘কঠিন-জ্বালানি’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন বলেছেন, এটি একটি পারমাণবিক পাল্টা হামলা চালানোর পিয়ংইয়ংয়ের সক্ষমতার বড় পদক্ষেপ। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শুক্রবার এ কথা বলেছে।
সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ এর প্রতিবেদনে জানিয়েছে নতুন ‘‘হুয়াসুং-১৮”আইসিবিএম’’ বৃহস্পতিবার কৌশলগত সামরিক শক্তির মূল উপায় হিসেবে পরীক্ষা করা হয়েছে।’
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম বলেছেন,আইসিবিএম-এর উন্নয়ন ‘আমাদের কৌশলগত প্রতিরোধকে ব্যাপকভাবে পুনর্গঠিত করবে এবং আমাদের পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের কার্যকারিতাকে শক্তিশালী করবে।’
সিউলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা একটি ‘মাঝারি পাল্লার বা তার বেশি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে যেটি একটি উঁচু গ্রহ নক্ষত্রের নির্দিষ্ট আবক্র পথে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পিয়ংইয়ং এলাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭:২৩ মিনিটে এটি উড়েছিল ১ হাজার কিলোমিটার ওপরে।
পিয়ংইয়ং-এর পরিচিত সব আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রই তরল-জ্বালানিযুক্ত, এবং কঠিন-জ্বালানি আইসিবিএম যা ভূমি বা সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাটি দীর্ঘদিন ধরে কিমের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল।
এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ এবং পরিবহন করা সহজ। উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা আরও স্থিতিশীল এবং দ্রুত, এবং এইভাবে আগে থেকে শনাক্ত এবং ধ্বংস করা কঠিন।
ফেব্রুয়ারিতে পিয়ংইয়ংয়ে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে, উত্তর কোরিয়া রেকর্ড সংখ্যক পারমাণবিক এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে। যার মধ্যে বিশ্লেষকরা সম্ভবত একটি নতুন কঠিন জ্বালানী আইসিবিএম ছিল বলে জানিয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্ষিকী ১৫ এপ্রিল সূর্যের দিন হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কয়েক দিন আগে এই ঘোষণা আসে।
তারিখটির প্রতিষ্ঠাতা নেতা কিম ইল সুং এর জন্মবার্ষিকীকে স্মরণ করে এবং সাধারণত উল্লেখযোগ্য অস্ত্র পরীক্ষা বা সামরিক প্যারেডের সাথে উদযাপন করা হয়।